
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ৩৬ নং মধ্য সিড্যা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নতুম ভবন নির্মাণ কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদার স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে জোরপূর্বক অন্যের জমিতে কর খুরে বিদ্যালয়টির নতুন ভবন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সরে জিমনে গিয়ে দেখা যায়,২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ঐ স্কুলের জমিদাতা ১’শ বছরের প্রাচীন মানব রাজাই বেপারীর কবরের কোন অস্তিত্ব রাখলোনা ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ঠিকাদার। জোরপূর্বক কবর খুরে মানবদেহর কঙ্কাল সহ বিভিন্ন হাড়গোড় অন্যথায় ফেলে দেয় তারা। পরে মৃত রাজাই বেপারীর মাথার খুলি টা খুঁজে পায় রিজিয়া বেগম ও তারই উত্তস্বরী ভাতিজা জসিম বেপারী। তাদের কান্নার আহাজারি দেখতে প্রতিদিন লোকজন বাড়িতে ভিড় করে। স্কুল ভবন নির্মানের বিষয়ে আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এখনও কাজ চলমান রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি রিজিয়া বেগম বাদি হয়ে একটি মামলা করলে, জেলা জজ আদালত এই নালিশী জমির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ দিয়ে শরীয়তপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে। তবে আদালতের নির্দেশ অমান্য করেই চলছে। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দেওয়ানী মামলা নং ২৯৬/২০২২।
জসিম বেপারী বলেন,পূর্বে এই বিদ্যালয়ে আমার বাপ দাদারা মৌখিকভাবে ১৫ শতাংশ জমি দান করে জান।পরে সে সময় স্কুলের ভবন ঠিকঠাক মতই উঠানো হয়েছিলো। এখন জমি না মেপেই নতুন ভবন নির্মান করতাছে। আমি আদালতের থেকে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা করাই। তবে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে অপমান অপদস্থ করে ও জোরপূর্বক ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই স্কুলের সামনে পুকুর আমাদের আমরা ভোগদখলে আছি। এখন কোনরকম মাপঝোপ ছাড়াই সরকার জোরকরে নিয়ে যাচ্ছে।
রিজিয়া বেগম (৮০) বলেন, আমার চাচাশশুর রাজাই বেপারীর ১০০ বছরের আগের কবর তুলে ফেলছে।তার মাথাটা এখন আমাদের হাতে। আমি এর বিচার চাই বিচার চাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখহাসিনার কাছে বিচার চাই। মুসলমান হইয়া কিভাবে পারে একজন মুসলামান মানুষের কঙ্কাল কিভাবে উঠায়। আমাদের জমিজমা সব নিয়া গেলোরে বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। আমি কোর্টে মামলা করেছি এইহানে কাজ বন্ধ রাখতে বলছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের নাম্বার বন্ধ করছেনা। শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাই।
ঠিকাদার শামিম হোসেন জানান, আমাকে স্কুল কতৃপক্ষ অথবা উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার সাহেব কাজ বন্ধ করতে বলে নাই। যদি আদালতের কোন নির্দেশনা পাই তাহলে কাজ বন্ধ রাখবো।
বিদ্যালয়টিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে প্রায় ৩ দিন ফোন কল করেও সে ফোনটি রিসিভ করেনি।
এ বিষয় উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাবিল হোসেন বলেন,আমাদের কাছে আদালতের কোন নোটশ আসে নাই। যদি নোটিশ পাই তাহলে কাজ বন্ধ করে দিতাম। এখন যদি কাজ বন্ধের কোন নোটিশ পাই তাহলে ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিবো।
কবর উঠানোর বিষয়াট ভুয়া উল্লেখ করে ডামুড্যা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দিন বলেন, আমরা জমি দাতা পক্ষের সাথে বসেছি ইউএনও স্যার ছিলেন সাথে তিনি বিষয়টি মানছেনা। সে একটা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা করে আদালত থেকে সেইটা আপিল করাতে নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হয়েছে। তাই স্কুল ভবনের কাজ করা হচ্ছে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |