
অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পে ৩০ হাজার স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারকে ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ করে দিবে আ. লীগ সরকার। এর মধ্যে শরীয়তপুর জেলায় আজ ১২৫টি বীর নিবাস প্রতীকী চাবি হস্তান্তরের মাধ্যমে আয়োজনটির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৩০ হাজার বীর নিবাসের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে নির্মিত হচ্ছে পাঁচ হাজার বীর নিবাস। এর মধ্যে শরীয়তপুর জেলায় ২৭৬টি বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে বীর নিবাস নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সদর উপজেলায় ৩৭টির মধ্যে ১২টি, ডামুড্যায় ২৯টির মধ্যে ১১টি, গোসাইরহাটে ২৯টির ২৭টি, জাজিরায় ২৫টির মধ্যে ১১টি, ভেদরগঞ্জে ৪৪টির মধ্যে ২৩টি, নড়িয়া ৯০টির ১২টি হস্তান্তর করা হয়েছে।
শহীদ, প্রয়াত ও অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি বীর নিবাস ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতিটি নিবাসে দুইটি বেডরুম, একটি করে ড্রইং, কিচেন ও দুইটি বাথরুমসহ থাকবে সুপ্রিয় পানির ব্যবস্থা। বীর নিবাসগুলো ২২ ফুট প্রশস্ত ৩৩ ফুট দৈর্ঘ্যরে হবে।
বীর নিবাস উদ্বোধনে গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রধান অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান।
সদর উপজেলার বীর নিবাস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য চির সমুন্নত থাকবে।
জেলা আ. লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব মুন্সী বলেন, বীর নিবাস শুধু শরীয়তপুরে নয়। সারা দেশেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস নির্মাণ করে দিয়েছেন। সবাই দিনশেষে রাতে একটি শান্তির ঘুম দিতে চায়। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ায় আমি প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই। এই ঘরের মাধ্যমে প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারবে।
বীর নিবাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বীর নিবাস উপহার পাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।