
আগামী ২২ মার্চ সারাদেশের ১৬০টি উপজেলার ন্যায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার তৃতীয় পর্যায়ের ২০টি এবং চতুর্থ পর্যায়ের ২০টি মোট ৪০টি পরিবারকে ঘর ও জমি হস্তান্তর করে ভূমিহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার(২০ মার্চ) জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো: পারভেজ হাসান প্রেস ব্রিফিং-এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী “মজিববর্ষ” উপলক্ষ্যে ২০২০ সালের ৭ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত পূর্বক টিনসেট সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৬৬ হাজার ১শ ৮৯ টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩শ ৪০টি এবং ৩য় পর্যায়ে ৬৫ হাজার ৬শ ৭৪টি ঘরের মধ্যে ৫৭ হাজার ৪’শ ৬৪টি ঘর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করে উপকারভোগী পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ২২ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের অবশিষ্ট ৮ হাজার ২শ ১০ টি এবং ৪র্থ পর্যায়ের ৪৯ হাজার ৪’শ ২৭ টি ঘরের মধ্যে ২৯ হাজার ৫শ ৭৯ টি ঘর ভার্চুয়ালী উদ্বোধনপূর্বক উপকারভোগীদের কাছে জমির কবুলিয়ত, নামজারী, খতিয়ান ও দাখিলা হস্তান্তর করবেন।
তারই অংশ হিসেবে আগামী ২২ মার্চ শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলায় ৪০টি, জাজিরা উপজেলা নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা হওয়ায় “চরাঞ্চলের বিশেষ শ্রেণীর ঘর” ১শ ৩৩টি, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৪৩টি এবং গোসাইরহাট উপজেলায় ৪৪টি সর্বমোট ২শ ৬০টি গৃহ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপকারভোগীদের মাঝে জমির দলিলসহ আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র হস্তান্তর করা হবে এবং ঘরের দখল বুঝিয়ে দেয়া হবে।
আর ঐদিনেই শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ পর্য়ায়ের সর্বমোট ৩শ ২টি গৃহ প্রদানের মাধ্যমে উক্ত উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে শরীয়তপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সাইফুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ তালুত, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে সহ শরীয়তপুর জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।