সোমবার, ২৯শে মে, ২০২৩ ইং, ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই জিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী
সোমবার, ২৯শে মে, ২০২৩ ইং

বিদ্যালয়ে মাদকবিরোধী ক্লাস নিলেন শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল হক

বিদ্যালয়ে মাদকবিরোধী ক্লাস নিলেন শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল হক

মাদকের ভয়াল থাবা থেকে কিশোর কিশোরীদের বাঁচাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিদ্যালয়ে গিয়ে ক্লাস নিলেন শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার।

সমাজ ধ্বংসের প্রধান হাতিয়ার মাদক। মাদক সমাজ থেকে ঠেলে দেওয়ার লক্ষ্যে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল হক কাজ শুরু করেছেন। শরীয়তপুর জেলা পুলিশ বাহিনীর প্রধান হিসেবে তার নেতৃত্বে তার অধীনস্থ সকল পুলিশ সদস্যদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। পুলিশং কঠোর ভূমিকায় ইতো মধ্যে জেলায় বেশ কয়েকটি স্থানে মাদকরে চালান আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। মাদক বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেব উঠতি বয়সি কিশোর কিশোরীদের সচেতনতার মাধ্যমে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করা।

তারি ধারাবাহিকতায় সোমবার ৮ মে বেলা ১২টায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার “চিতলিয়া সমিতিরহাট উচ্চবিদ্যালয়” গিয়ে উপস্থিত হলেন শরীয়তপুরের সুযোগ্য পুলিশ সুপার সাইফুল হক। ক্লাশ কক্ষে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাদক এর কুফল বিষয়ক সচেতনতামূলক আলোচনা করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অক্তার হোসেন, আঙ্গারীয়া ফারি ইনচার্জ মাহিউদ্দিন, চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার ও চিতলিয়া সমিতিরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ সহ স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল হক ক্লাশে ঢুকে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে হলে শিক্ষার্থী, কিশোর-কিশোরী ও যুব সমাজসহ সকল স্তরের মানুষকে মাদকের গ্রাস থেকে মুক্ত থাকতে হবে। মাদকাসক্তি দেশের কিশোর-কিশোরী ও যুব সমাজকে দ্রুত ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। মাদকদ্রব্য তাই সমাজ ও জাতির জন্য বিষ। তোমাদেরকে আমরা আগামীর ভবিষ্যৎ ও দেশ গড়ার কারিগর মনে করি। তোমরা সঠিক পথে চলতে পারলে দেশের চেহারা রাতারাতি পাল্টে দিতে পারো। তোমরা সুস্থ থাকলে আগামীর ভবিষ্যৎ সুস্থ ভাবে গড়ে ওঠবে। পড়াশোনা ও খেলাধূলায় তোমাদের মনোযোগী হতে হবে। মাদকের নেশা স্বাভাবিক জীবন থেকে অনেক দূরে ঠেলে দিতে পারে । সর্বনাশা মাদকে আক্রান্ত হয়ে অন্ধকার জীবনে হারিয়ে যাচ্ছে অনেকেই। এক জটিল ও কঠিন সমস্যার নাম মাদক নামক বস্তুটি। কোনো পরিবারের কেউ মাদকাসক্ত হলে সে পরিবার পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

মাদকের মতো আরেকটি নেশার কথা উল্লেখ করে পুলিশসুপার বলেন, তোমরা মোবাইল চালানোর ব্যাপারেও অপ্রাপ্ত বয়স, এখনো মাধ্যমিক পাশ করোনি। আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী মোবাইল আসক্তির কটুচক্রে আবদ্ধ হয়ে বেমালুম ভুলে যায় নিজের ভবিষ্যত জীবনের সোনালী স্বপ্নের কথা। ফেইসবুক, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউব কিংবা টুইটারের করাল চক্রে তারা আটকে ফেলে সুন্দর জীবনের খেই। তারা এ আসক্তির মোহ ভাঙ্গার পথ খুঁজে পায়না, হারিয়ে ফেলে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ। কিশোর বয়সে মোবাইল ফোন থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।

সেই সাথে আরেকিট বিষয় সতর্ক করে ছাত্রদের উদ্যেশ্যে পুলিশসুপার বলেন, তোমরা ছাত্ররা এখন মোটরসাইকেল চালানোর ব্যাপারে অপ্রাপ্তবয়স্ক। সড়ক নিরাপদ রাখতে তোমরা অপ্রাপ্ত বয়সে মোটর সাইকেল চালানো থেকে বিরত থাকবে আশাকরি। গ্রামে-মফস্বলে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা মোটরসাইকেল নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সড়কে। দুর্ঘটনায় নিজের প্রাণই হারাচ্ছে । তোমরাতো জানো এই মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় অনেকের বাবা-মায়ের কুল খালি হয়েছে। আমরা চাইনা মোটরসাইকেল নিয়ে দাপিয়ে সামান্য আনন্দ পেতে পরিবারটিতে সারা জিবনের কান্ন হোক। তোমারা বেচে থাকারে আগামীতে দেশের কল্যানে কাজ করতে পারেবে। পুলিশ সুপারের এমন উপদেশ মূলক বক্তব্যে ছাত্রছাত্রীরা হাত উঁচিয়ে একমত প্রকাশ করে এবং স্কুল কক্ষটি আনন্দ ঘর পরিবেশ তৈরি হয় ।

 

#

 


error: Content is protected !!