
শরীয়তপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আায়োজনে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের ২০৩ নং কক্ষে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ সালেহুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, শরীয়তপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ দ্রুত সময়ে মামলার নিস্পত্তি করতে হবে। স্বল্প সময়ে সাক্ষী প্রমাণ গ্রহণ করে মামলা শেষ করতে হবে। একটা সময় বলা হতো বিচার যতো দেরীতে হবে, বিচার ততো ভালো হবে। কিন্তু এখন সেই সময় আর নেই। এখন উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণ নিয়ে দ্রুত বিচার শেষ করতে হবে। তাহলেই মানুষ ন্যায়বিচার প্রাপ্ত হবে। এরপর সকল মামলা ও বিচারের দ্রুত শেষ করার ক্ষেত্রে সাক্ষীদের মোবাইল নাম্বার যুক্ত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। সঠিক সময়ে সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করতে হবে।
কনফারেন্সে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেদায়েত উল্লাহ-এর পরিচালনায় এ সময় জেলা পুলিশ সুপার মো: সাইফুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ তালুত, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুমন কুমার পোদ্দার, জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট কামরুল ইসলামসহ বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ, সকল থানা অফিসার ইনচার্জগণ প্রমূখ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
কনফারেন্সে সভাপতির বক্তব্যে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সালেহুজ্জামান বলেন, বিচার কার্য দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে দ্রুত সাক্ষী উপস্থিতি, সমন জারি, গ্রেফতারী, হুলিয়া ও ক্রোকি পরোয়ানা, জখমীর সনদ, ময়না তদন্ত্রের প্রতিবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে প্রেরণে সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়। বিশেষ করে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন, মেডিকেল সার্টিফিকেট, ফরেনসিক ও ভিসেরা রিপোর্ট স্পষ্ট অক্ষরে লিখতে বলা হয় এই কনফারেন্স থেকে। মামলা দ্রুত নিস্পত্তির লক্ষে সাক্ষী উপস্থাপনের জন্য পাবলিক প্রসিকিউটরকে তাগিদ প্রদান সহ ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতারের ক্ষেত্রে আপীল বিভাগের নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য পুলিশ বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।