Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

শরীয়তপুরে রুদ্রকর এলজিইডি’র আওতায় ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প খাল খনন প্রকল্প

শরীয়তপুরে রুদ্রকর এলজিইডি’র আওতায় ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প খাল খনন প্রকল্প
শরীয়তপুরে রুদ্রকর এলজিইডি’র আওতায় ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প খাল খনন প্রকল্প

শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নে বড় সোনামুখী খাল (পাবসস) পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির মাধ্যমে এলজিইডির আওতায় ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) খাল পুনঃখনন করা হয়েছে। এই খাল পুনঃখননের ফলে এলাকার কৃষি জমি মৌসুমী চাষাবাদের উপযোগী হয়ে উঠেছে । এতে এলাকার গরীব চাষীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। খাল পুনঃখননের পর ২৪০ হেক্টর জমি চাষাবাদে সুবিধা ভোগ করছেন দুই হাজার কৃষক।

২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে এলজিইডি এর ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর আওতায় বড় সোনামখী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির মাধ্যমে ৮ কিঃমি খাল পুনঃখনন করা হয়। উপ প্রকল্পের দক্ষিণ-পশ্চিম দিক হয়ে আড়িয়ালখা নদীর দিক প্রবাহিত খালটি বড় সোনামুখী আউটফল এবং উপ প্রকল্পের উত্তর দিক দিয়ে বুড়ীরহাট নদী প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া শরীয়তপুর সদরে যাওয়ার মহাসড়ক এবং আমিন বাজার হাট অবস্থিত। পূর্ব পার্শ্বে লক্ষী নারায়ণ রাস্তা নতুন বাজারের দিক অতিক্রম করেছে। আবার পশ্চিম পাশ দিয়ে একটি ব্রাঞ্চ খাল প্রবাহিত হয়েছে, যেটি উপ- প্রকল্পের সীমানা অতিক্রম করে আরো পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে।মোট ৮ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও জাপানি প্রতিষ্ঠান (জাইকার) অর্থায়ানে খালটি কাটার উদ্যোগ নেওয়া হয়। খালটি কাটার সময় ২৫০ জন পুরুষ ও ১০০ জন মহিলা শ্রমিক কাজ করছে। এই কাজের ফলে পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন। খালের মাটি দ্বারা দুই পাশ্বের রাস্তা মেরামত করে জনগণের চলাচলের জন্য উপযোগী রাস্তা তৈরি হয়েছে। রাস্তার দুই পার্শ্বে সামাজিক বনায়নের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে এবং পাখিদের অভয়াশ্রম তৈরি হয়েছে ও বিপুল মাছের সমারোহ বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

খাল পুনঃখননের ফলে বোরো ধানের পুনরায় চাষাবাদ সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। রবি ফসলের ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হবে, বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষ, এক ফসলীয় জমিকে বহু ফসলীয় জমিতে রুপান্তরিত করা সম্ভব হচ্ছে। ফসলের নিবিরতা বৃদ্ধি, পতিত জমির পরিমাণ কমছে, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, কৃষি শ্রমিকের সারা বছরই কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর কৃষি ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। খাল ডিজাইন অনুযায়ী খুবই সুন্দর ভাবে কাটার ফলে এলাকার জনপ্রতিনিধি গন্যমান্য ব্যাক্তি ও জনসাধারণ সন্তস প্রকাশ করেছে।

শরীয়তপুর জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান ফরাজী বলেন “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য অনুসারে কোন আবাদী জমি পতিত রাখা যাবে না। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সমস্ত জমিগুলোকে আবাদি জমিতে রুপান্তরিত করতে হবে”।

এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর আওতায় তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। খাল খননের সুবিধা দেখে জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণ বাস্তবায়নকারী দপ্তর (এলজিইডি)-র কাজকর্মে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। বিশেষ করে রুদ্রকর বড় সোনামুখী খালটি খননের ফলে এবার কৃষক ব্যাপক ফসল উৎপাদন করছেন এবং প্রচুর পরিমান মাছ পাওয়া যাচ্ছে খালটির ভিতর। এতে মৎসজীবিরা অধিক মাছ ধরতে পারছে, যা দিয়ে তারা জীবিকা নির্বাহ করছে।

গ্রামীণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খাল খননে বড় সোনামুখী কৃষক সহ অন্তত্য ১০ টি গ্রামে তিন ফসলি চাষাবাদ শুরু হয়েছে।

শরীয়তপুর-১আসনের সাংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এমপি বলেন শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা আসনে এলজিইডির অধীনে বেশ কয়েকটি খাল খনন করা হয়েছে । আমিও ওই সব প্রকল্প এলাকায় ঘুরে দেখছি বেশ সুন্দর করে খাল খনন কাজ করছেন, এতে কৃষক বেশ লাভবান হয়েছে, খাল গুলো পূনঃ খনন করায় জোয়ার ভাটার পানি অতি সহজেই যাতায়েত করতে পারছে। সদর ও জাজিরায় আরো কিছু খাল রয়েছে আমি চেষ্টা করছি সরকারের কাছ থেকে আরো কিছু খাল খননের বরাদ্দ আনবো এর ফলে সদর ও জাজিরায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ও জেলেরা, মৎস চাষীরা মাছ ধরে তাদের জীবিকা বহন করবে,এতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণ হবে সোনার বাংলা বি-নিরমানে আমরা ঐক্যবদ্ধ আমরা কৃষি স্বয়ং সম্পূর্ণ দেশ পাবো।