
সেমবার ২৫ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুর জেলা শহরের পালং মডেল থানা পরিদর্শন করেন শরীয়তপুরের বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সালেহুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রুপম ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হেদায়েত উল্যাহ। পরিদর্শন কালে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থানার বিভিন্ন রেজিস্ট্রার বহি পর্যালোচনা এবং অন্যান্য কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন কালে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থানার বিভিন্ন রেজিস্ট্রার বহি সমূহ যেমনঃ গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল রেজিস্ট্রার, সাজা পরোয়ানা তামিল রেজিস্ট্রার, ক্রোকী পরোয়ানা রেজিস্ট্রার, পত্র প্রাপ্তি রেজিস্ট্রার, তদন্ত সম্পর্কিত বিভিন রেজিস্ট্রার সহ অন্যান্য রেজিস্ট্রারবহি সমূহ পর্যালোচনা করেন। পর্যালোচনা শেষে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ও সাজা পরোয়ানা তামিলে আরো গুরুত্ব আরোপ করতে, আদালত কর্তৃক প্রদেয় তদন্ত কার্যক্রম নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্রুততার সাথে সম্পন্ন পূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণ করতে, বিভিন্ন রেজিস্ট্রার গুলো আরো সূচারুরুপে সংরক্ষন করতে, আদালত কর্তৃক বিভিন্ন মামলায় এবং জিডিমূলে নিস্পত্তিকৃত মামলার আলামত সমূহের তালিকা দ্রুততার সহিত বিজ্ঞ আদালতে প্রেরনের ব্যাবস্থা করতে নির্দেশনা প্রদান করেন। উল্লেখিত নির্দেশনা গুলো যথাযথ ভাবে অনুসরণ করার চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতে আরো সতর্কতা অবলম্বন করা হবে মর্মে থানা অফিসার-ইন-চার্জ (পালং মডেল থানা) বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে আশ্বস্ত করেন। তিনি সম্প্রতি এই থানায় যোগদান করেছেন এবং নিকট ভবিষ্যতে থানার কার্যক্রমকে আরো আধুনিকায়নে ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অতঃপর পরিদর্শন শেষে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরিদর্শন বইয়ে নিজে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন এবং স্বাক্ষর করেন।
তিনি থানার সামগ্রিক কার্যক্রম ও পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। পরিশেষে, বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনবান্ধব পুলিশি সেবার মান উন্নয়নে আরো দ্বায়িত্বশীল হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করেন।