
শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের চিকিৎসা সেবা সহজ করার লক্ষ্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে, ছয়টি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ১৮ ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মান করা হয়।
ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসার প্রয়োজনে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হলেও দেয়া হয়নি চাহিদা মত চিকিৎসক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের চিকিৎসা অবকাঠামো নিশ্চিত করতে নির্মিত এই ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে ঠিকঠাক মত কিছুতেই রাখা যাচ্ছেনা চিকিৎসকদের। তাদের এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রেগুলোতে নিয়োগ বা বদলি করার পর কেউ পালিয়ে যায়, কেউ অনিয়মিত ডিউটি করছেন। এজন্য এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো বেশিরভাগ সময় থাকছে চিকিৎসক শূন্য। অসাধু চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের গাফিলতির কারনে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রত্যান্ত গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার টার্গেট থেকে যাচ্ছে অসম্পূর্ন।
চিকিৎসা কিংবা ঔষধ কোনোধরনে সেবাই পাচ্ছেনা প্রত্যান্ত গ্রামের স্থানীয় চিকিৎসাসেবা প্রত্যাশীরা।
এছাড়া অবহেলা আর অযত্নে এই ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর ভবনের আশপাশে ময়লা আবর্জনা, ঘাস ও ছোট ছোট গাছ পালায় জঙ্গলে পরিণত হয়ে গেছে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে পরিত্যাক্ত কোন ভবন, ভেতরে আরও বেশি নোংরা পরিবেশ। ভবনের দেয়ালে গজিয়েছে বিভিন্ন ধরনের পরগাছায় , এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকার ভবন।
সদর উপজেলায় রয়েছে চারটি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, এগুলো হলো-আংগারিয়া ইউনিয়ন, পালং, ডোমসার ও চিকন্দী ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
জাজিরা উপজেলায় রয়েছে, তিনটি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, এগুলো হলো- বিলাসপুর, বিকে নগর ও লাউখোলা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
নড়িয়া উপজেলায় রয়েছে চারটি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, এগুলো হলো- নড়িয়া, নশাসন, ভোজেশ্বর ও পন্ডিতসার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
ভেদরগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে ৫টি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, এগুলো হলো-ছয়গাঁও ইউনিয়ন, কার্তিকপুর, সখীপুর, ডিএম খালী ও মহিষার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
ডামুড্যা এবং গোসাইরহাট উপজেলায় রয়েছে মাত্র একটি করে ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, এগুলো হলো-কনেশ্বর ইউনিয়ন ও হাটুরিয়া ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
এই ১৮টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রর বেশিরভাগেই নেই চিকিৎসক, যে কয়টায় চিকিৎসক রয়েছে, সেগুলোতেও ঠিকমতো ডিউটিতে যাননা চিকিৎসকরা,অভিযোগ স্থানীয় চিকিৎসা সেবা প্রত্যাশীদের।
এবিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা আবুল হাদী মোহাম্মদ শাহ্ পরান দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসক থাকতে না চাওয়ার ঘটনাটি পুরণো, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো সচল রাখার, আগামীতে আরও ভালোভাবে সচল রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।