
শরীয়তপুর জেলার চাষিরা বোরো ধান গোলায় তুলতে পেরে বেশ খুশি। ঘূর্ণিঝড় রেমালসহ কালবৈশাখীর প্রতিকূলতা অতিক্রম করে শতভাগ বোরোর ফলন নিরাপদে ঘরে তুলেছেন।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগীতায় মাটির উপযোগীতা যাচাই করে নতুন-নতুন উচ্চফলনশীল জাত ও নানা গুনাগুণ সম্পলিত জাতের ধান লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে আবাদ করেছেন। গত বছরের তুলনায় ১৬ হেক্টর বেশি জমিতে ধানের আবাদ করেছেন জেলার কৃষকরা।
শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোস্তফা কামাল হোসাইন বাসস’কে বলেন, এ মৌসুমে জেলায় বোরো’র লক্ষমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার বোরো চাষিরা সব ধরণের আশংকাকে পেছনে ফেলে নিরাপদে তাদের ধান ঘরে তুলেছেন।
জেলায় এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৫ হাজার ৫১০ হেক্টর। লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ২৫ হাজার ৫২৬ হেক্টরে। ফলন হয়েছে ১ ল্খ ৭৮ হাজার ৩২৫ টন। গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৬ দশমিক ৯৮ টন। সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৫ টন ও স্থানীয় জাতের সর্বনি¤œ ৬ দশমিক ৬ টন ফলন হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার আমতলী গ্রামের কৃষক গিয়াস বেপারী বলেন, এ বছর আমরা কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী জমির উপযোগীতা অনুযায়ী জাতের ধান আবাদ ও পরিমিত সার, কীটনাশক ব্যবস্থাপনায় খামারি অ্যাপস ব্যবহার করে বেশ ভালো ফলন পেয়েছি। উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের ফলন পেয়েছি হেক্টরে ৮ দশমিক ৬ টন। যা গত বছরের তুলনায় দশমিক ৮ টন বেশি। এ বছর ধানের বাজারমূল্যও বেশ ভাল। প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, গত মৌসুমে উপজেলার কৃষি প্রণোদনা ও পূর্নবাসন কর্মসূচির আওতায় ৩ হাজার ৫৫০ জন বোরো চাষষিকে আনা সম্ভব হয়েছে। উপজেলায় এবার বোরো ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার ও সঠিক ব্যবস্থাপনার ফলে এবার তুলনামূলক কৃষকের উৎপাদন ব্যয়ও কমেছে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |