
শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের প্রত্যেক ভিজিডি কার্ডধারীর কাছে থেকে প্রতি মাসে সঞ্চয়ের নামে ২২৫ টাকা করে জমা রাখা হয়েছিল। মাদারীপুর নারী উন্নয়ন সংস্থা (মানুস) নামের একটি এনজিওর মাধম্যে সঞ্চয়ী হিসাব খুলে সেই টাকা ব্যাংকে জমা করার নিয়ম ছিল। আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আলী আহম্মেদ এনজিও কর্মীর সাথে যোগসাজস করে আংশিক টাকা ব্যাংকে জমা করে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে প্রতিবেদন দাখিল করে। অবশিষ্ট টাকা আলী আহম্মদ আত্মসাৎ করে।
গত ৯ এপ্রিল জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের ক্রেডিট সুপারভাইজর মহসীন উদ্দিন ও ট্রেড ইন্সট্রাক্টর ইলিয়াস হোসেন সকাল ১০টা এনজিও কর্মীর দাখিলকৃত প্রতিবেদন অনুযায়ী সুবিধাভোগীদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরৎ দিতে শুরু করে। ২৬১ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে ৭২ জনকে টাকা ফেরৎ দিতেই সুবিধাভোগীরা ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করে। ২৪ মাসে কার্ডধারীরা ৫ হাজার ৪ শত টাকা সঞ্চয় জমা করে কেউ কেউ তিন হাজারের চাইতেও কম টাকা ফেরত পাচ্ছে। তখন সুবিধাভোগীরা মানুস নামে এনজিও কর্মী ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে। কোন প্রকার সুবিধা না পেয়ে তারা সংবাদ কর্মীদের বিষয়টি অবগত করেন। পরে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপপরিচালক খাদীজাতুন আসমার উপস্থিতিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। দেখা যায় আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আলী আহাম্মেদ ২৬১ জন সুবিধা ভোগীর কাছ থেকে ৮৭ হাজার ২শত টাকা আত্মসাৎ করেছে। আত্মসাতের টাকা ফিরিয়ে দিয়ে সচিব আলী আহাম্মেদ সাময়িক মুক্তি পায়।
পরে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খাদীজাতুন আসমা উপস্থিত থেকে গত ৩০ এপ্রিল সুবিধাভোগীদের মাঝে সঞ্চয়ের টাকা বিতরণ করেন।
এ বিষয়ে সচিব আলী আহম্মেদ বলেন, আমার কার্যালয়ের এক বৃদ্ধ লোককে দিয়ে টাকা আদায় করা হয়েছিল। সে হিসাবে ভুল করায় এ সমস্যা হয়েছিল। পরে সেই টাকা ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপপরিচালক খাদীজাতুন আসমা বলেন, অনিয়মের সংবাদ পেয়ে আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে যাই। সেখান থেকে এনজিও’র সঞ্চয় বই ও ভিজিডি কার্ড কব্জা করি। পরে আমার কার্যালয়ে বসে ভিজিডি কার্ড ও এনজিও’র কার্ডের সাথে সমন্বয় করি। দেখা যায় এনজিও কার্ড ও ভিজিডি কার্ডের মধ্যে ৮৭ হাজারেরও বেশী গড়মিল রয়েছে। বিষয়টি এনজিও ও সচিবকে অবগত করি। সচিব পরে সমুদয় টাকা ফেরৎ দিয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল সেই টাকা সুবিধাভোগীর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এখন আর কার্ডধারীদের কোন অভিযোগ না