Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

ভেদরগঞ্জে জালিয়াতি ও আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

ভেদরগঞ্জে জালিয়াতি ও আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা সদরের সাজনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন মিল্টনকে চেক জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি। একই সাথে প্রধান শিক্ষকের জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। গত ৪ জুলাই বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির ১২ নং সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে ।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জল হোসেন, একাডেমীক সুপারভাইজার মোঃ মস্তফা কামাল, শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য মাসুদ রানা, কৃষ্ণ কান্ত কর, অভিভাবক সদস্য বিল্লাল হোসেন হাওলাদার, বাবুল মাঝি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য হাজি হারুন অর রশিদ হাওলাদার।
তদন্ত কমিটির সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধি মাসুদ রানা জানান, প্রধান শিক্ষকের মধ্যে বিদ্যালয় পরিচালনার কোন যোগ্যতাই নেই। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে নতুন কমিটি গঠনের পরেও অক্টোবর মাসে পুরাতন কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছেন।
তিনি আরও জানায়, এছারাও এই প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ব্যাংক হিসাব নম্বর থেকে মোট ৯৪ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ রয়েরছ। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদান করব।
বিদ্যালয় জমিদাতা পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, মোফাজ্জল হোসেন মিল্টনকে এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ রয়েছে। তিনি স্কুলের উন্নয়নের চেয়ে নিজের উন্নয়নকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এর পূর্বেও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩২টি অভিযোগ দিয়েছে অন্যান শিক্ষকরা। তদন্ত কমিটি হয়েছে প্রমান হলে প্রধান শিক্ষকের বিচার হবে। আর প্রমান না হলে তিনি নিঃর্দোষ প্রমানিত হবে।
তদন্ত কমিটি সদস্য বিল্লাল হোসেন হাওলাদার বলেন, আমি তদন্ত কমিটির সদস্য তাই তদন্ত করেই প্রতিবেদন দিব। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমাদের উপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা আমরা সততার সাথে পালন করবো।
প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন মিল্টন বলেন, ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে ছাত্রীরা ফল খারাপ করার কারণ জানতে চাওয়ায় কতিপয় শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমি অর্থ আত্মসাৎ করর কেন। আমিইতো বিদ্যালয়ের কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা পাওনা। সব কিছু আয়নার মত পরিস্কার আছে। সঠিক তদন্ত হলে আমি নিঃর্দোষ প্রমানিত হবো।
উপজেলা একাডেমীক সুপার ভাইজার মো. মোস্তফা কামাল তদন্ত কমিটির চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিধি অনুযায়ী তদন্ত করে নির্ধারিত সময়ে কমিটির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করব।