Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

ডমুড্যা নিন্মমানের ইট দিয়ে সড়ক নির্মানের অভিযোগ

ডমুড্যা নিন্মমানের ইট দিয়ে সড়ক নির্মানের অভিযোগ
ডমুড্যা নিন্মমানের ইট দিয়ে সড়ক নির্মানের অভিযোগ

শরীয়তপুরের ডমুড্যা উপজেলার ইসলামপুরে নিন্মমানের ইট দিয়ে পূর্বের চেয়ে নিচু করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।

ঠিকাদার ও পিআইও অফিসের যোগসাজসে এই রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় এলাকাবাসীল মাঝে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সদস্য ওয়াসিম মেম্বার এই কাজের সাথে জড়িত হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতেও সাহস পায় না।

পিআইও অফিস সূত্রে জানাগেছে, ডামুড্যা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অফিসের ত্রাণ ও পূনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ইসলামপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১ কিলোমিটার ইটের সোলিং রাস্তা নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। ৬৪ লাখ টাকা প্রকল্পের নির্মাণ ব্যায় ধরে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে যাওয়াদ এন্টারপ্রাইজের হাবিবুর রহমানকে। ঠিকাদার হাবিবুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের বড়ি নির্মাণ কাজে ব্যস্ত থাকায় ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মন্টির কাছে কাজটি বিক্রি করে দেয়। বর্তমানে ছাত্রলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য ওয়াসিম মেম্বার কাজটি করছেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মীর্জা আলী মাদবরের বাড়ি থেকে বাদল দফাদারের দোকান পর্যন্ত ৫০০ মিটার দৈঘ্য ও ৩ মিটার প্রস্থ ইটের সোলিং রাস্তা নির্মাণ কাজ চলছে। পূর্বের কাচা রাস্তা থেকে কোথাও ৩ ফুট পর্যন্ত নিচু করে সেখানে নম্বরবিহীন ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। পাইলিংও করা হয়েছে নরবরে ভাবে। এই নিয়ে স্থানীয়দের সাথে ঠিকাদার ও মেম্বারের প্রতিনিয়ত ঝগড়া হচ্ছে। কিছুতেই সমাধান মিলছেনা।

স্থানীয় আব্দুল হক সরদার, বাদল দফাদারসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, পূর্বের রাস্তা থেকে বর্তমান রাস্তা কোথাও কোথাও ১ ফুট থেকে ৩ ফুট পর্যন্ত নিচু হচ্ছে। পাইলিং হয়েছে খুবই নরবরে। তার ওপরে নম্বরবিহীন ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। সামান্য বর্ষায় সেখানে পানি উঠে যাবে। আমাদের কষ্টের লাঘব হবে না। প্রতিবাদ করতে গেলেই মেম্বারের রক্তচক্ষু দেখতে হয়।

ঠিকাদার হাবিুর রহমান জানায়, তার ফার্মের নামেই কাজটি পেয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি কাজটি বিক্রি করে দেন। এখন তার কোন দায়দায়িত্ব নাই। বর্তমান ঠিকাদার মন্টি জানায়, পুরোন বাজেটে কাজের মূল্য ধরা আছে। বর্তমান ইটের মূল্য বেশী। তাই একটু আধটু অনিয়ম হতে পারে। তবে নিয়মের মধ্যে থেকে রাস্তা নির্মাণ করতে চেষ্টা করবেন সে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, রাজনৈতিক ভাবে অনেক কাজ হয় তাই আমাদের কিছুই করার থাকে না। তবুও কাজের সাইডে গিয়ে দেখব। অনিয়ম পেলে বিল বন্ধ করে দিব।