
শরীয়তপুর ডামুড্যা উপজেলার সিধলকূড়া ইউনিয়ন অবস্থিত আদাশন হুজুর বাড়ি গিয়ে। ৪ নভেম্বর শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা যায় হুজুরের বাড়ি প্রাঙ্গনে মেলা মিলেছে। পাশ থেকে ভেসে আসছে ঢোল-ডগরের বাজনার সাথে গান। কাছে গিয়ে দেখা যায়, খানকার ভেতর পুরুষের চেয়ে নারীই বেশী। তারা সেই বাজনার তালে তালে শরীর ও মাথা দুলিয়ে নাচছেন। অনেকেই চেয়ারে গিয়ে ভক্তি দিয়ে টাকা-পয়সা দিচ্ছেন।
তখনই এলাকার এক যুবক জানান, আগে আসল পীর থাকতে, এখানে শৃঙ্খলতা ছিল। এখন আর সেই শৃঙ্খলা নেই। নারী পুরুষ সব এক হয়ে গেছে। সব ভণ্ডামি।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় পীরের ওয়ারিশ নাতী হাফেজ মোদাচ্ছের ইসলাম এর সাথে তিনি জানান, এখানে কেউ দায়িত্বে নাই। আমরাই ওলী ওয়ারিশ হিসাবে আছি। প্রতি শুক্রবার এখানে এই অনুষ্ঠান হয়। ২শ’ আড়াইশ বছর আগে থেকে এই সিল সিলা চলে আসছে। জায়গা সংঙ্কটের কারণে নারীদের আলাদা করা যাচ্ছে না। এখানে অতি বিশ্বাস নিয়ে মানুষ এখানে আসে। অনেকে অনেক কিছু নিয়ত করে আসে। বিশৃঙ্খলার কিছু নেই। জুম্মার নামাজের পর মিলাদের মধ্যদিয়ে শেষ হয়ে যায়। সবাই তখন চলে যায়। যা করার হুজুরের ভক্তবৃন্দগনই করেন।
সেখানে গিয়ে কথা হয় আগরবাতি, মোমবাতি, বিক্রেতা একজন নারী ভক্তের সংগে তিনি জানান, আগরবাতি, মোমবাতি গোলাপজল নিয়ে সমস্যার কথা চেয়ারের কাছে বললেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ১২ টায় হুজুর উঠে। শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ে হুজুর চলে যায়।
খানকার সামনে সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, মোর্শেদ কেবলা নূর এ নূরানী গাউসুল আজমে আকবার দোজাহানের সম্রাট আউলিয়া-শীরমনি বাবা ক্বেবলা আদাশনী হযরত মাওলানা হাফেজ মোঃ আজিজুর রহমান (রঃ) কায়াবদলের তারিখ ২৪ শে শ্রাবণ ১৩৯৮ বাংলা শুক্রবার সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে ওফাত তারিখ ২৭ মহরম ১৩৯৭ হিজরি।
আরেক নারী ভক্ত জানান, তিনি ছোট বেলা থেকে এখানে আসেন। তিনি বিশ্বাস করেন, পীর সাহেব মরেন নাই। সে শুধু কায়াবদল করেছেন। ভক্তরা তাদের যাবতীয় সমস্যার সমাধান এখানে এলে পেয়ে যায়।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |