
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার ভুক্তভোগী দরিদ্রপরিবারটি সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতংকে দিনকাটাছেন বলে পরিবার সুত্রে প্রকাশ। শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের গরোয়া হাওলার কান্দি গ্রামের স্থানীয় সন্ত্রাসী দের হামলায় একই পরিবারে ৫জন আহতোর ঘটনায় ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন আছাদ মাদবরের দরিদ্র পরিবারটি। এছাড়াও প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসীদের হুমকি ধামকির শিকার হচ্ছেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা জায় গত জানুয়ারি মাসের ১২জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকালে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে প্রভাবশালী হাসেম হাওলাদর নেতৃত্বে লাঠটিসোটা, ধারালো রামদা, লোহার পাইপ, চাপাটি দিয়ে একই গ্রামের দরিদ্র নিরীহ পরিবার আসাদ মাদবর ও তার পরিবারের সকলের উপর হামলায় চালায়।
হামলায় গুরুতর আহতরা হলেন মাফুজা আক্তার, শারমিন আক্তার, ছাবেদ সরদার ও শাওন সরদার। আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শরীতপুর সদর হাসপাতে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আসাদ মাদবর বাদী হয়ে শরীয়তপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সন্ত্রাসীরা প্রভাবশালী হওয়ায় আসামিরা জামিনে এসে ওই নিরীহ পরিবারটিকে দিনের পর দিন প্রান নাশের হুমকি সহ মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করছেন বলে নিরহ পরিবার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী নিরহ পরিবারের আসাদ মাদবর বলেন, আমার পরিবারের পাঁচ সদস্যদের কুপিয়ে খ্যান্ত হয়নি সন্ত্রাসীরা এখন তারা আমাদের করা কোটের মামলাও তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী মাফুজা আক্তার বলেন, জন্মের পর থেকে এমন নিষ্ঠুর অমানবিক সন্ত্রাসী মালা সিকার কখনো হইনি, মানুষ মানুষ কে এভাবে মারতে পারে তা এই সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে বুঝতে পারলাম।
এ ব্যাপারে হাসেম হাওলাদরের নিকট গিয়ে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শেখ মোস্তফা খোকন বলেন থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের বরারব একটি রিপোর্ট চেয়েছেন তার অনুযায়ী রুগীরা প্রথমিক ভাবে জে অবস্থায় ছিলেন সেই অনুযায়ী একটি রিপোর্ট প্রদান করা হয়, ভুক্তভোগী হামলার শিকার ওই পরিবার আদালতে নিকট আরজি করলে আদালত জেলা সিভিল সার্জেনকে ৩ সদস্য একটি কমিটির মাধ্যমে রিপোর্ট প্রদান করতে বলেন তাহলে আমরা তদন্তকরে আবার রিপোর্ট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) শেখ শরিফুল আলম বলেন ওই পরিবারটি এই ঘটনায় মালা করতে আসেনি। পরে জানলাম তারা আদালতে মামলা দায়েরের করছেন। আদালত এই ঘটনার যা নির্দেশ দিয়েছেন আমরা তাই সঠিক ভাবে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আসামীদের ভয়ে জদি ভুক্তভোগী পরিবার কোনো সমস্যা থাকেন তাহলে আমাকে ফোন করে জানান আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।