Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

গোসাইরহাটে পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছে আসামি

গোসাইরহাটে পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছে আসামি

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের ওয়ার্ডের পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছেন একজন আসামি। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটলেও বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ ঘটনায় গোসাইরহাট থানা পুলিশের কনেস্টাবল (কং ৪৪৪) মো. হেলাল উদ্দিনকে ক্লোজড করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামী হলেন, গোসাইরহাট উপজেলার ধীপুর গ্রামের আজাহার পাইকের ছেলে সুমন পাইক।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে আহতাবস্থায় আসামি সুমনকে হাসপাতালের ৩০৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে কোনো এক সময় পুলিশি হেফাজত থেকে সুমন পালিয়ে যান।
গোসাইরহাট থানা পুলিশের এসআই মো. সাচ্চু মিয়া (মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা) বলেন, মঙ্গলবার সকালে গোসাইরহাট উপজেলার ধীপুর এলাকায় পুকুরের ঘাট বাঁধা নিয়ে আজাহার পাইকের সঙ্গে মিলন তপাদারের বাকবিতন্ডা হয়। পরে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে মিলন তপাদারের পক্ষের ৭জন আহত হয়। তাদের দুজনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। বাকিদের গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে আজাহার পাইকের পক্ষের সুমন পাইক আহত হয়ে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। সুমনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। সংঘর্ষর ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মিলন তপাদার বাদী হয়ে সুমন পাইকসহ ৭জনকে আসামী করে গোসাইরহাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা বলেন, ধীপুর এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে মারমারি হয়। ওই ঘটনায় মামলা হয়। হাসপাতালের ওয়ার্ডে পুলিশি হেফাজত থাকা মামলার ৪ নম্বর আসামী সুমন পাইক বুধবার সকালে বাথরুমে হাতমুখ ধুতে যাবে বলে। তখন দায়িত্বে থাকা কনেস্টাবল হেলাল সরল মনে সুমনের হাত করা খুলে দেয়। আসামী সুমন হাতমুখ ধুতে গিয়ে পালিয়ে যায়। তাই দায়িত্ব অবহেলার কারণে কনস্টেবল মো. হেলাল উদ্দিনকে ক্লোজড করে শরীয়তপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ওসি বলেন, মামলার ৫ নম্বর আসামী নিপা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর সুমনসহ বাকিদের আটকের জন্য পুলিশ কাজ করছে।