
শরীয়তপুর গোসাইরহাটে শীতের আগাম সবজি বাজারে আসলেও দিন দিন সবজির দাম না কমে বেড়েই চলেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ। ৬০-৭০ টাকা কেজি দরের নিচে মিলছে না কোনো সবজি।
বৃহস্পতিবার সকালে বেশ কিছু বাজারে ঘুরে দেখা যায়, বেগুন ৬৫-৭০ টাকা, পটল, মুলা, মিষ্টি কুমড়া, লাল শাক ৫০-৬০ টাকা কেজি, করলা ৭০ টাকা, কপি ৬০ টাকা কেজি এবং প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়।
উপজেলার গোসাইরহাট বাজার থেকে গ্রাম পর্যায়ের সব হাট বাজারগুলোতে এমনই চিত্র দেখা গেছে। সরকারের বেঁধে দেয়া আলুর দাম ৩৫ টাকার জায়গায় ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে অসৎ ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়াও অন্যান্য সবজির দামও লাগামহীন।
হাটুরিয়া বাজারের সবজি ব্যাবসায়ী মোক্তার মৃধা বলেন, এবার আমাদের এলাকায় দফায় দফায় বন্যা আর অতি বৃষ্টিপাতে চরাঞ্চলের সব ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল, তাই সবজির আবাদ কম হওয়ায় বাজারে সবজির ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এদিকে নাগেরপাড়া বাজারের সবজি ব্যাবসায়ী মো. মানিক হোসেন বলেন, পরপর বন্যার কারনে সবজির আমদানি কম, কৃষকদের সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সবজির দাম বেশি। সামনে কয়েকদিন পরে শীতের সবজি নামলে দাম কমে আসবে।
কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁঝ, এখনো ৮৫ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে। এখনো ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।
উপজেলার মো. মনির হোসেন একজন পেশায় ভ্যান চালক বলেন, বাজারে সব চাইতে কাঁচা তরকারী গুলোর দাম বেশী, ভ্যান চালিয়ে সবজি কিনে ছেলে মেয়ে নিয়ে চলতে কষ্টকর হয়।
বাজারে সবজি কিনতে আসা রুহুল আমিন পেশায় একজন সাধারণ কর্মচারী বলেন, এমনিতেই করনাকালীন সময়ে অনেক কষ্টে আছি। তারপর মরার উপর খারার ঘা। আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষদের এতো দাম দিয়ে সবজি খাওয়া সম্ভব নয়। বাজারে সকল সবজির দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। প্রশাসনের নজরদারি বাড়ালে হয়তো একটু দাম সহনীয় মাত্রায় আসতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর হুসাইন বলেন, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি।