Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

গোসাইরহাট গরু-ছাগলের হাট পন্ড করলেন উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী

গোসাইরহাট গরু-ছাগলের হাট পন্ড করলেন উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী
গোসাইরহাট গরু-ছাগলের হাট পন্ড করলেন উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী

গোসাইরহাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় গরু-ছাগলের হাট পন্ড করে দিল উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী। বিধিনিষেধের মধ্যেও শুক্রবার ০৯ জুলাই গোসাইরহাট উপজেলার দাসেরজঙ্গল গরুর হাট বসেছে। হাটে ক্রেতা–বিক্রেতার কাছে মাস্ক থাকলেও, অধিকাংশ ক্রেতা–বিক্রেতার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব ছিল না। তবে প্রশাসনের লোক ও সাংবাদিক দেখলে তড়িঘড়ি করে মুখে মাস্ক পড়ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারেও উদাসীনতা দেখা গেছে।

হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই ছিল না। গরুর হাট বসায় গোসাইরহাট পৌর এলাকার চিত্রও ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক।

স্থানীয় বাসিন্দা ও গরুর হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার দাসেরজঙ্গল গো-হাট বসে। এটি উপজেলার সবচেয়ে বড় গরুর হাট। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরেও প্রতি সপ্তাহ গরুরহাট চলমান রয়েছে। আজও যথারীতি গরুর হাট বসেছে।

এদিকে গরুর হাটকে কেন্দ্র করে পৌর এলাকায় নসিমন, ভ্যানসহ অন্যান্য ছোট যানবাহন বিনা বাধায় চলাচল করেছে। দোকানও খোলা দেখা গেছে।

দাসেরজঙ্গল গো-হাটের ইজারাদার আব্দুল আউয়াল সরদার দৈনিক রুদ্রবার্তকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা গরুর হাট বসিয়েছি। যেহেতু এটি বড় গরুর হাট উপজেলা প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরুর হাট পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেহেতু গবাদিপশু কৃষিপন্যের আওতাভুক্ত। তাই লকডাউনের ভিতরও গবাদিপশু বাজারজাত করা যাবে।

গোসাইরহাট উপজেলার অতিরিক্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর আল-নাসীফ দৈনিক রুদ্রবার্তকে বলেন, এখানে প্রতি সপ্তাহে গরুর হাট বসে। শুক্রবার যথারীতি গরুর হাট বসেছে। হাটে সকালে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা ছিল। হাটে বিধিনিষেধ না মানায় দ্রুত গরু-ছাগলের হাটটি সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে ভেঙে দিতে বলি এবং তারা গরুর হাটটি ভেঙে দেয়।

এদিকে ইজারাদার ও ক্রেতা-বিক্রেতাগণ বাজার ভেঙে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।