
শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের দাসের জংগল গ্রামের জমাদার বাড়ী থেকে মহেশ্বর পট্রি ব্রিজ পর্যন্ত সরকারী খাল অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে গোসাইরহাট উপজেলা প্রশাসন।
গত ২০ মার্চ সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন এবং পরেরদিন মঙ্গলবার সকাল থেকে আবার শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। উচ্ছেদ অভিযানে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে এ কার্যক্রম চলে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, জেলা প্রশাসন শরীয়তপুর কার্যালয়ের বি ০৯/২১- ২২ নং উছেদ মোকদ্দমায় ৫০নং দাশের জংগল মৌজায় ০১নং খাস ক্ষতিয়ানে ৫৯২,৮৪৭,৮৮৯ দাগের জমীতে অবৈধ স্থাপনা, মাটি ভরাট বসত বাড়ির উছেদ পরিচালনা করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট সুজন দাস গুপ্তকে নিয়োগ প্রদান করেন।
গোসাইরহাট শহর এলাকার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া পশ্চিম দাশের জংগল খালের দু’পাড় ও খাল বন্ধ করে দখল করে বিভিন্ন পাঁকা স্থাপনা তৈরী করে স্থানীয়রা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ এবং মাইকিং করে নির্দেশনা দেওয়া হয়, এরপর থেকে অনেকেই স্থাপনা ভাঙ্গার কাজ শুরু করেন। যারা তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেননি তাদের এ স্থাপনা ভেকু ও শ্রমিক লাগিয়ে ভেঙ্গে ফেলার ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন। স্থানীয় সবুজ জমাদার বলেন, আমরাও চাই এ খালটিসহ আরও যেসব দখল হয়ে গেছে সেসব খালগুলো দখলমুক্ত করা হোক,এ খালটি দিয়ে পানি প্রবাহ হলে অনেক ধরণের সমস্যা থেকে আমরা মুক্ত হবো।
গোসাইরহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সুজন দাস গুপ্ত বলেন, অবৈধ দখলদারদের আমরা ১০ মাস আগে নোটিশ দিয়েছি তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য, এবং মাইকিং করেছি। যারা নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নেননি তাদেরটি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, আমরা প্রায় দুই কিলোমিটার খাল উদ্ধার করেছি,এবং আজকেই অভিযান শেষ করছি না, সরকারি খাল যতদিন পর্যন্ত দখলমুক্ত না হবে ততদিন অভিযান অব্যহত থাকবে। অবৈধভাবে দখল করা খাল, দখলমুক্ত করার অভিযানে উপস্থিত ছিলেন গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফি বিন কবির, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাস গুপ্ত, সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম, ইদিলপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ মামুন হোসেন, রিজার্ভ পুলিশ সদস্য, আনসার সদস্য, ফায়ার সার্ভিস সদস্য, স্থানীয় রাজনেতিক ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় জনসাধারন।