মঙ্গলবার, ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং, ১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১১ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
মঙ্গলবার, ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং

জাজিরায় নালিশী জমিতে জোরপূর্বক ঘর উত্তোলনের অভিযোগ

জাজিরায় নালিশী জমিতে জোরপূর্বক ঘর উত্তোলনের অভিযোগ

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে নালিশী জমিতে জোরপূর্বক ঘর উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিাবাদী পক্ষ। তাদের ঘর উত্তোলনে আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। আদালতের আদেশ মেনেই তারা ঘর উত্তোলন করছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জাজিরা উপজেলার ৪৮ নং খোশাল শিকদার কান্দি মৌজায় আর এস ৫১৭ নং দাগে ১.৮৬ শাতংশ জমি রয়েছে যা সিএস ৩২৫ নং দাগে লিপিবদ্ধ ছিলো। ওয়ারিশ সুত্রে এই জমির মালিক তিন ভাই শাহেদ আলী মাদবর, দেরাগ আলী মাদবর ও রহম আলী মাদবর। তারা প্রত্যেকে ৬২ শতাংশ করে জমি ভাগে পাবে। এই জমি নিয়ে শাহেদ আলীর ওয়ারিশ হামিজদ্দিন মাদবর, আবেদা খাতুন, নূর আলম মাদবর, ইলিয়াস মাদবর, রফিক মাদবর, সোনিয়া আক্তার, রাজিয়া বেগম, এমদাদ মাদবর, ইকবাল মাদবর, তরিরণ বেগম, নিলু বেগম সুজন মাদবর, রুবিনা বেগম ও রোকেয়া বেগম শরীয়তপুর জেলাধীন বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, জাজিরা (চিকন্দী) মোকদ্দমা দায়ের করেন। মোকদ্দমা নং দেঃ ১৩৯/১৯। মোদ্দমায় বিবাদী করা হয়েছে রহম আলী মাদবরের ওয়ারিশ নূর ইসলাম মাদবর, দেলোয়ার মাদরব, নাজমা আক্তার, সোনাবান বিবি, সুফিয়া আক্তার, ও রুবিনা আক্তারকে।
উক্ত মোকদ্দমায় নালিশী জমিতে কোন প্রকার ঘর উত্তোলন বা ভোগ দখলের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করা হয়। গত ২৪ জুলাই নিষেধাজ্ঞার প্রার্থীরা না মঞ্জুর আদেশ দেন আদালত। এই আদেশের বিরুদ্ধে বাদী পক্ষ বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন। যার নং ২১/১৯। এই মিস আপিলের প্রেক্ষিতে আদালত উক্ত নালিশী জমিতে কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না তা জানতে চেয়ে ৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শনোর জন্য বিবাদী পক্ষকে নোটিশ জারি করেন।
বাদী পক্ষের অভিযোগ, আদালতের কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব না দিয়ে বিবাদী পক্ষ নালিশী জমিতে জোরপূর্বক ঘর উত্তোলন করছে। কিন্তু বিবাদী পক্ষের দাবী, নোটিশ পাওয়ার দুইদিন পর আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য সময়ের আবেদন করা হলে আদালত আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করে। উক্ত জমিতে ঘর উত্তোলনে কোন বাঁধা বা নিষেধাজ্ঞা নেই।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. মুরাদ হোসেন মুন্সি বলেন, বাদী পক্ষের অনুপস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত। এই আদেশের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করলে কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবেনা তা জানতে চেয়ে বিবাদীদের নোটিশ জারি করেন আদালত। কিন্তু বিবাদী পক্ষ আদালতের নোটিশের কোন জবাব না দিয়ে জোরপূর্বক নালিশি জমিতে ঘর উত্তোলন করছে।
বিবাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. কামাল হামিদী বলেন, মামলাটি প্রথম যখন দায়ের করা হয় তখন উভয় পক্ষকে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন আদালত। এরপর বিবাদী পক্ষ আদালতে এর জবাব দেন। পরে উভয় পক্ষের শোনানীতে স্থিতি অবস্থা বাতিল করে দেয় আদালত। বাদী পক্ষ সেখানে পরাজিত হয়ে ওই আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল দায়ের করে। মিস আপিলের প্রেক্ষিতে আদালত বিবাদী পক্ষকে ৫ দিনের মধ্যে জাবাব দেওয়ার জন্য নোটিশ জারি করেন যে, কেন আপনাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না। নোটিশ পেয়ে আমরা আদালতে উপস্থিত হয়ে নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য সময়ের আবেদন করি। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন। ওই জমিতে ঘর উত্তোলনে আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।

গোসাইরহাটে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানব বন্ধন
(ছবি-৭)
রুদ্রবার্তা প্রতিবেদক ॥ গোসাইরহাটের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয় করনের লক্ষ্যে গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের সামনে ৮দফা দাবী পূরনের জন্য মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা মোঃ অনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, ফিল্ড সুপার ভাইজার তুহিন বিশ্বাস, হিসাব সহকারী সোহেল আহম্মেদ, ফিল্ড সহকারী সহিদুল ইসলাম, সেকান্দার আলী ও দূর্গা সরকার, প্রমুখ।


error: Content is protected !!