
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি (এসএমসি) সভাপতির সাক্ষর জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক মো. এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে। সভাপতি প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার ফিরিস্তি উল্লেখ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক এরশাদ আলী জাজিরা উপজেলার ২২ নং ছাব্বিশপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
সভাপতি এম.এ. জলিলের লিখিত অভিযোগ থেকে জানাগেছে, বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় ও ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য সরকার বিভিন্ন সময়ে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকে। প্রধান শিক্ষক এরশাদ আলী সভাপতির সাক্ষর জাল করে বিভিন্ন সময়ে ৩ লক্ষাধিক টাকা সোনালী ব্যাংক জাজিরা শাখা থেকে উত্তোলন করে। টাকা ব্যয়ের খাত ও হিসাব সভাপতিকে অবহিত করে নাই। ইতোমধ্যে উত্তোলন পরবর্তী বিভিন্ন চাপে ৯১ হাজার টাকা ব্যাংকে পুনরায় জমাও করেছেন দুর্নীতিবাজ সেই শিক্ষক।
এসএমসির সভাপতি বলেন, ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারি ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই ও ১৬ আগস্ট দুইটি চেকের মাধ্যমে ১ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা এবং চলতি বছরের ৯ মে ও ২৯ আগস্ট দুটি চেকের মাধ্যমে ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেছে প্রধান শিক্ষক এরশাদ আলী। প্রতিটি চেকে আমার সাক্ষর রয়েছে অথচ সেই চেকে আমি সাক্ষর করিনি বা উত্তোলিত টাকা সম্পর্কে আমি কিছু জানিও না। কোন কোন খাতে টাকা ব্যয় করা হয়েছে তাও আমি জানি না। তাছাড়া এই প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারীতায় এলাকাবাসী ও শিক্ষক সমাজ অতিষ্ট। প্রধান শিক্ষকের দুর্ব্যবহারে বিদ্যালয়ে কোন পুরুষ শিক্ষক বা মেধাবী শিক্ষক থাকে না। ইতোপূর্বে প্রধান শিক্ষক লিখিত ভাবে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেও পুনরায় সেই কাজ করেছে।
জাজিরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিএম এনামুল হক বলেন, দুই বছর পূর্বে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি ছিল। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষা অফিসারদের সমন্বয়ে বিষয়টি সমাধান করেছি। বর্তমানে আরো কোন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা জানি না।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এরশাদ আলী বলেন, যে অভিযোগ করেছে সে এখন কমিটিতে নাই। তাই তার অভিযোগের ভিত্তি নাই। আমি কখনো সাক্ষর জাল বা টাকাও আত্মসাত করিনি। সভাপতির কাছে কোন ক্ষমাও চাইনি। এসএমসির বর্তমান সভাপতি কে জানতে চাইলে তা বলতে পারেনি প্রধান শিক্ষক।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এসএমসির সভাপতি একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |