Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হত্যা

প্রধান শিক্ষক হত্যার ঘটনায় ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রধান শিক্ষক হত্যার ঘটনায় ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রধান শিক্ষক হত্যার ঘটনায় ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বিএম মোজাম্মেল হক উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম মালত (৪৩) হত্যার ঘটনায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।

শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় ৯ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের ভাই সামাদ মালত বাদী হয়ে ৪৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটককৃত সুজন ফকিরকে (৩০)কে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহসপতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জাজিরা উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম মাদবর ও পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াছ মাদবর গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের ধারণা। নিহত সাইফুল ইসলাম ইলিয়াছ মাদবর পক্ষের সমর্থক ছিলেন। মামলার আসামিরা সবাই সেলিম মাদবরের সমর্থক বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও নিহত সাইফুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে সাইফুল জাজিরা উপজেলা সদর থেকে বাড়ি ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। এ সময় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে খবর পেয়ে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ্ওইরাতেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি ।

সাইফুল মালতের ভাই মো. সামাদ মালত বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি বিএম মোজাম্মেল হকের আমরা অনুসারী, তার প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে চাকুরি করতো ভাই। এ কারণে একটি পক্ষ আমাদের কোণঠাসা করে রাখত।

তারা গত বছর ২৫ জুলাইও আমার ভাইয়ের ওপর হামলা করেছিল। ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে আমার ভাই প্রাণ হারাবে, সেটা কখনো কল্পনা করতে পারিনি। তাঁদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে খুনিদের বিচার করা হউক এটা আমাদের প্রত্যাশা।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের লক্ষে পুলিশ তৎপর। আওয়ামী লীগের স্থানীয় দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।