Monday 12th May 2025
Monday 12th May 2025

প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে দোকানিকে কুপিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট

প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে দোকানিকে কুপিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট
প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে দোকানিকে কুপিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ডুবিসায়বর বন্দর কাজীরহাটে মঙ্গলবার দুপুর ২ টার সময় বাজারের পাইকারি মুদি ব্যবসায়ী মিন্টু খালাসির দোকানে এইহামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এসময় হামলাকারীদের দেশীয় অস্ত্রের কোপে মিন্টু খালাসির মামাতো ভাই লাভলু মোল্লা(৩০) গুরুতর আহত হয়। এছাড়া হামলাকারীরা মিন্টু খালাসির “মেসার্স সুলতান এন্ড সন্স” নামক দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন মিন্টু খালাসি।

আহত লাভলু মোল্লাকে সাথে সাথে স্থানীয়রা জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। ঘটনার ঘন্টাখানেকের মধ্যে ঘটনাস্থলে জাজিরা থানা পুলিশ গিয়ে আলামত জব্দ করে।

দোকানদার মিন্টু খালাসি(৩০) বলেন, আমি দুপুরে এনআরবি ব্যাংক থেকে ২ লক্ষ, স্থানীয় আরেকজন ব্যবসায়ী দুলাল মাদবর থেকে আনা ৬ লক্ষ এবং সারাদিনে বিক্রি করা প্রায় ২ লক্ষসহ মোট প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ক্যাসে রেখে দোকানদারি করছিলাম।

হঠাৎ কামরুল মোল্লা(৪৫), নান্নু মোল্লা(৩৫), কালু মোল্লা(৩০), রবিন মোল্লা(২৬), জুলহাস মোল্লা(৩৫) এবং হামেদ মোল্লা(৫০)সহ সর্বমোট ১০-১২ জন ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ এসে আমাদের উপর হামলা করে। এসময় আমার মামাতো ভাইকে কুপিয়ে জখম করে নগদ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যায়।

তবে এই ঘটনায় হামলাকারী কারও সাথেই তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় মিলন মোল্লা(৩৭) জানান, হঠাৎ করেই হামলাকারীরা এসে মিন্টু খালাসির দোকানে আক্রমণ করে পিস্তল দিয়ে গুলি করে এবং চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এসময় লাভলু মোল্লা আহত হয়ে যায় এবং মিন্টু খালাসি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলে ডাকাতরা ক্যাশ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়।

ডুবিসায়বর বন্দর কাজীরহাট কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক টেপা জানান, মিন্টু খালাসির দোকানে হামলার বিষয়টি আমরা শুনেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। প্রশাসন তাদের মত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

জাজিরা থানার পুলিশ-পরিদর্শক মো: সুজন হক জানান, আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানদার এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানি এবং আলামত জব্দ করি।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে সাথে-সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে প্রাথমিকভাবে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।