Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

নড়িয়ায় আবারো তীর রক্ষা বাঁধে ধ্বস! আতঙ্কে পদ্মা পাড়ের মানুষ

নড়িয়ায় আবারো তীর রক্ষা বাঁধে ধ্বস! আতঙ্কে পদ্মা পাড়ের মানুষ

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় আবারো পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধে ধ্বস দেখা দিয়েছে। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে পদ্মা পাড়ের মানুষ। শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হঠাৎ করে উপজেলার মধ্য কেদারপুর এলাকায় তীর রক্ষা বাঁধের ২০ মিটার এলাকা দেবে গেছে। সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে নতুন করে বাধে ধ্বস দেখা দেয়ায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে পদ্মা পাড়ের প্রায় ২০ হাজার পরিবার। যার ফলে অনেকেই তাদের বসতঘর সরিয়ে নিচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার বলেন, সাম্প্রতি কেদারপুর এলাকায় বাঁধে ফাটল দেখা আমরা সেখানে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা করে যাচ্ছি। শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে বাধের ২০ মিটার এলাকা একটু দেবে যায়। এরপর থেকেই আমরা সেখানে জিও ব্যাগ ফেলা অব্যাহত রেখেছি। তারপর থেকে আর ভাঙ্গন দেখা দেয়নি।
১১০০ কোটি টাকা ব্যায়ে ‘শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্প’ নামে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, আট হাজার ৯০০ মিটার নদীর তীর সংরক্ষণ, ৯ হাজার ৭৫০ মিটার নদী ড্রেজিং, ৮৯ মিটার অ্যান্ড টার্মিনেশন এবং আটটি খেয়াঘাট (আরসিসির মাধ্যমে) নির্মাণ।
এ পর্যন্ত প্রায় ৩৪ লাখ জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। এখনও ডাম্পিং কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বড় বড় ৫টি ড্রেজিং মেশিনের মাধ্যমে নদী খননে কাজ চলছে। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে সিসি ব্লক ডাম্পিং চলছে।
এরই মধ্যে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে মধ্য কেদারপুর এলাকায় প্রায় হঠাৎ করে প্রায় ৩শ মিটার বাঁধ ধ্বসে ১৩টি বসতঘর, গাছপালা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এরপর থেকেই সেখানে ভাঙ্গন এলাকায় সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ ডাম্পিং অব্যাহত রাখা হয়েছে। পরের দিন সকালে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি ভাঙ্গন এলাকা পরির্শনে এসে ঠিকাদার সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এররই মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নড়িয়ায় ডান তীর রক্ষা প্রকল্প ও ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সময় আবারো হঠাৎ করে প্রায় ২০ মিটার এলাকা দেবে যায়। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।