
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নশাসন ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম ছৈয়ালকে (৩০) আটক করেছে নড়িয়া থানা পুলিশ। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে তাকে ইউনিয়নের পাড়াগাঁও এলাকা থেকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমাকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।
“নড়িয়ায় যুবলীগ নেতার ভয়ে গ্রামছাড়া ১১টি পরিবার” শিরোনামে শরীয়তপুর মাটি ও মানুষের প্রিয় পত্রিকা ‘দৈনিক রুদ্রবার্তা’-এ সংবাদ প্রকাশ হয়।
নশাসন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন মোল্লা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামের মৃত ছিটু ছৈয়ালের ছেলে মাসুমের বিরুদ্ধে নড়িয়া থানা ও পালং মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনসহ বিভিন্ন অপরাধে ১২টি মামলা রয়েছে। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ফসলি জমিতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নিজ বাড়িতে বালু উত্তোলনের বিষয়টি নজরে এলে প্রশাসন সেটি পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়। স্থানীয় জলিল আকন প্রশাসনকে জানিয়েছেন, অপবাদ দিয়ে তাকে কুপিয়ে আহত করে মাসুম ও তার বাহিনী। বর্তমানে জলিল ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেই ঘটনায় জলিলের ভাই এমদাদ মাসুমকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের বিরুদ্ধে নড়িয়া থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় জামিনে এসে এলাকায় তান্ডব শুরু করে মাসুম ও তার বাহিনী। মাসুম ও তার বাহিনীর ভয়ে পাড়াগাঁও গ্রামের ১১ পরিবার বসতভিটা ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে এবং ১৫টি পরিবারে পুরুষ শূন্য হয়ে পরেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছয় মাস ধরে তারা বসতভিটা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এতে ব্যাহত হচ্ছে সন্তানদের লেখাপাড়া। এ ব্যাপারে নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ সুপার বরাবর ভূক্তভোগি পরিবারগুলো লিখিত অভিযোগও করেছেন বলে জানা যায়।
নশাসন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন সরদার বলেন, মাসুম ও তার বাহিনীর ভয়ে পাড়াগাঁও গ্রামের অনেক পরিবার ছয় মাস ধরে বসতভিটা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা মিটিং ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে অনেকবার আলোচনাও করেছি। আজ শুনলাম মাসুম ছেয়ালকে পুলিশ আটক করেছে, শুনে ভালো লাগলো।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, একটি মামলায় মাসুম ছৈয়ালকে তার এলাকা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে।