
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চরাত্রা ইউনিয়ন থেকে জেলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (০২ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ইউনিয়নের আব্বাস ব্যাপারী কান্দি এলাকার একটি খেলার মাঠের পাশের গাছ থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত রজব আলী খাঁ (১৫) জাজিরা উপজেলা কুন্ডেরচর ইউনিয়নের সরল খার কান্দি গ্রামের সৈয়দ খাঁর ছেলে। সে পদ্মা নদীতে দীর্ঘদিন যাবত মাছন ধরে।
নিহত রজব আলী খাঁর বড় ভাই নাছির খাঁ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৩০ অক্টোবর (শুক্রবার) পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে যায় জাজিরা উপজেলা কুন্ডেরচর ইউনিয়নের সরল খার কান্দি গ্রামের রজব আলী খাঁ। তখন মাছ ধরা নিয়ে রজব আলীর সঙ্গে একই গ্রামের দানেস চৌকিদারের ছেলে শাহিন চৌকিদারের সঙ্গে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতিও হয়। এ বিষয় নিয়ে ০১ নভেম্বর (রোববার) সন্ধ্যায় সরল খার কান্দি গ্রামে দরবার সালিশ বসে। কিন্তু দরবার সালিশে ওই বিষয় না তুলে ট্রলারের ইঞ্জিন চুরির অপরাধ দিয়ে শাহিন চৌকিদার, তার ভাই সুজন চৌকিদার ও ইশ্রাফিল চৌকিদার রজব আলীকে লাথি-ঘুষি মারে। এছাড়া স্থানীয় মেম্বার লিয়াকত খাঁ, মোস্তফা খাঁসহ সালিশগণ রজব আলীকে ট্রলারের ইঞ্জিন চুরির অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
সেই দরবারের পর থেকে রজব আলী খাঁ নিখোঁজ। পরিবার রাতে এলাকা, আত্মীয়-স্বজন, তার বন্ধুর বাড়ি খোঁজ করে পায়নি। সোমবার (০২ নভেম্বর) সকালে স্থানীয়রা গাছের ডালের সঙ্গে মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে পুলিশেকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধর করে।
নিহতর বড় ভাই নাছির খাঁ বলেন, ট্রলারের ইঞ্জিন চুরির অপরাধ দিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করেছে শাহিন, সুজন ও ইশ্রাফিলরা। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
নড়িয়া থানার তদন্ত ওসি প্রবীণ কুমার চক্রবর্তী মুঠোফোনে বলেন, গতকাল জাজিরা উপজেলা সরল খার কান্দি গ্রামে একটি সালিশ হয়েছে শুনেছি। সালিশের পর থেকে রজব আলী নিখোঁজ হয়। আজ আমরা রজব আলীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তর জন্য মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।