
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ইলিশ রক্ষার অভিযানে শুরু থেকেই শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা মৎস্য অফিসের মাছ বিতরণের অনিয়মের কথা স্থানীয় মানুষের মুখে মুখে প্রচার হলেও আজ তা অভিযানের শেষ দিন প্রকাশ্যে ক্যামারায় ধরা পড়েছে। অফিসের বাহিরের কেচি গেইট লাগিয়ে অফিসের ভিতরের বারান্দায় প্রতিদিনের মতই জব্দকৃত মাছ ভাগাভাগিতে ব্যস্ত নড়িয়া উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মচারী ও কর্মকর্তারা। এতিমদের না দিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে করছেন মাছ ভাগাভাগি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীতে অভিযান চালানোর পর জেলেদের নিয়ে আসা হয় স্থানীয় ভুমি অফিসে। আর মাছ নদীর পাড়ে থেকেই কিছু এতিম খানায় দিয়ে বাকিটা নিয়ে আসে নড়িয়া উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা। ভ্রাম্যমান আদালত ভুমি অফিসে বসানো হয়। যার ছবি বেশির ভাগ সময় সংবাদ কর্মিদের ধরতে দেয়া হয় না। অন্যদিকে ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালীন সময়ে মৎস্য বিভাগের দায়িত্বরতরা বড় ইলিশ ভাগাভাগি করে।
বুধবার ৪ নভেম্বর সকাল ১০ টায় মাছ ভাগাভাগি হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে অফিসে গেলে কেটে পড়েন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল। এ সময় উপজেলা মৎস্য অফিসের রাসেদ ও আউব আলী, আক্তারসহ অন্যান্য মাছ ভাগাভাগি করছেন। ক্যামেরা সামনে মৎস্য অফিসের কর্মচারীরা কথা বলতে না চাইলেও সংশ্লিষ্ট খন্ডকালিনরা জানায় শেষের দিন মাছ দিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
এদিকে স্থানীয় দরিদ্র মানুষ ভির জমায় মাছ নেওয়ার জন্য। তারা বলেন, প্রতিনিয়ত মসজিদ মাদ্রায় কিছু দিয়ে বাকি মাছ তারা ভাগাভাগি করে নেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। এর আগে ১৭ অক্টোবর আটককৃত ১২ জন জেলেকে থানা হাজতে না রেখে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে রাখেন তিনি। তখন সেখান থেকে ১২ জন জেলেই পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজনে জানায় অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উক্ত বিষয়টিও জানতে চাইলে তিনি চিত্র ধারনে বাধা দেন এবং কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।