
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় হামলাকারীদের কাছ থেকে এক যুবককে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন একই পরিবারের তিনজন। আহত অবস্থায় তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই যুবককেও পিটিয়ে আহত করেছে হামলাকারীরা।
এঘটনায় আজ সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকালে নড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। এরআগে গতকাল রোববার (২৪ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের কালিকাপ্রসাদ গ্রামের মো. বাবুল ব্যাপারীর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের কালিকাপ্রসাদ গ্রামের গনি ব্যাপারীর ছেলে মো. বাবুল ব্যাপারী (৪০),
তাঁর স্ত্রী পপি আক্তার (৩০) ও ভাই এমদাদ ব্যাপারী (৩০)।
এছাড়া ওই যুবক মামুন হাওলাদারকে (২৬) পিটিয়ে আহত করেছে হামলাকারীরা। তিনি উপজেলার জপসা ইউনিয়নের কবিরাজকান্দি গ্রামের দানেস হাওলাদারের ছেলে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে নড়িয়ার কালিকাপ্রসাদ গ্রামের বাবুল ব্যাপারীর বাড়ির সামনে একই গ্রামের হেলাল সরদার (৩৫), আল আমিন সরদার (৩০), আবু সিদ্দিক সরদার (৫৫), মান্নান সরদার (৫২), মিজান সরদার (৫০), আমিনুর সরদার (৪৭), জলিল সরদার (৪২), নাদিম সরদার (২৫), রিপন সরদার (১৮), লিটন সরদার (২১), হাসান সরকার (২৫)সহ ২০/২৫ জন মামুন হাওলাদারকে দেশীয় অস্ত্রসহ বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করছিল। তখন মামুন গুরুতর আহত হন। এমন অবস্থায় হামলাকারীদের কাছ থেকে মামুনকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হন মো. বাবুল ব্যাপারী, পপি আক্তার ও এমদাদ ব্যাপারী। তাদের আহত অবস্থায় স্থানীয়রা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে হামলাকারীরা বাবুলের ঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাবুল ব্যাপারী নড়িয়া থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহত মামুন হাওলাদারের মা নাহিদা বেগম (৪৫) বলেন, আল আমিন সরদার আমার ছেলের কাছ থেকে ২০০টাকা পায়। তাই আমার ছেলেকে পিটিয়ে আহত করেছে ওরা। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে বাবুলরা আহত হয়েছে।
আহত বাবুল ব্যাপারী বলেন, আমি মেয়েকে নিয়ে টিভি দেখতে ছিলাম হঠাৎ চিৎকার শুনে বাড়ির ঘাটায় যাই। যেয়ে দেখি প্রতিবেশি মামুনকে মারধর করছে হেলাল, আল আমিন, আবু সিদ্দিকরা। মামুনকে বাঁচাতে গেলে স্ত্রী, ভাই ও আমাকে পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। পরে আমার ঘরে তারা হামলা ও লুটপাট করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। আমি এই হামলার বিচার চাই।
অভিযুক্ত আল আমিন সরদারের মা রিনা বেগম (৫০) বলেন, ঢাকা থাকা অবস্থায় আল আমিনের কাছ থেকে মামুন ২০০টাকা ধার নেয়। ওই টাকা নিয়ে ঢাকাতে দুইজনের মধ্যে মারামারি হয়। মিমাংসার জন্য রোববার দুপুরে নড়িয়ার কালিকাপ্রসাদ এলাকায় দরবার সালিশ হয়। মিমাংসা না হওয়ায় আল আমিন ও মামুনের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে আমার ছেলে মামুনকে চর দেয়।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনি শংকর কর বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে। ঘটনা সত্য হলে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |