
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ত্রিপল্লী বঙ্গবাজার এলাকার সরকারী আশ্রয়ন প্রকল্পের বসতঘর থেকে স্বামী শহিদুল মন্ডলের অনুপস্থিতিতে অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী রুনা বেগম নগদ ৫০ হাজার টাকা স্বর্ণ আলংকার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নিখোজ রয়েছে।
শহিদুল মন্ডল পেশায় রাজমিস্ত্রী হওয়ার সুবাদে আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্মান কাজের জন্য স্ত্রী রুনা বেগমকে সাথে নিয়ে একটি ঘরে প্রায় ৬ মাস ধরে বসবাস করে আসছিল।
ফরিদপুর সদর উপজেলার বনগ্রামের মোঃ আজাদ মন্ডল এর২য ছেলে শহিদুল মন্ডল পাশের গ্রাম মৃগী কানাইপুর গ্রামের ছবেদ মোল্লার স্বামী পরিত্যাক্ততা কন্যা সৌদি প্রবাসী রুনা বেগমের সাথে ধর্মীয় ও সামাজিক রীতি মেনে ২০২৩ সালে জুলাই মাসের ১৪ তারিখে ১লক্ষ ১০ হাজার টা দেন মহর ধায্য করে ৫০ হাজার টাকা ওয়াশিল দিয়ে বিবাহ সম্পূর্ণ হয়।
নিখোজ রুনার স্বামী শহিদুল মন্ডল জানায়, ২০২৪ সালে রুনা অন্তঃস্বত্তা হলে তার বাবার বাড়ী থেকে রুনার মা রাজিয়া খাতুন ছোটবোন রূপা ও বোনের স্বামী রাকিবের কুপরামর্শে ৬ মাসের ভ্রুন হত্যা করে ডিএনসিসি করে খালাস করা হলে সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে ফরিদপুর আদালতে মামলা দায়ের করে শহিদুল। মামলা চলমান থাকলেও পরে স্থানীয় সালিশ মিমাংসার মাধ্যমে পুনরায় সংসার করার লক্ষ্যে স্ত্রী রুনাকে নিয়ে শরীয়তপুরে আসেন তিনি । এর পর সৌদি যাওয়ার জন্য রাকিবের সাথে মোবাইলে আলাপ করতো রুনা। টের পেয়ে পুনরায় বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বামী শহিদুল। বর্তমানে রুনা ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শহিদুল কাজের সন্ধানে ১৪ ফেব্রুয়ারী শরীয়তপুরের স্থানীয় ভোজেশ্বর বাজারে গেলে ফাকা বাসা থেকে নিখোজ হয় রুনা। ঘরের দরজা বাহির থেকে ছিটকারী লাগানো ছিল। ঘরে গিয়ে শহিদুল দেখতে পায় ঘর ফাকা করে সব কিছু নিয়ে গেছে। রুনার পরনের জামা কাপর নিয়ে গেলেও শহিদুলের জামা কাপর ঘরের মেঝোতে ফেলে রেখে গেছে।
স্বামী শহিদুলের ধারনা রুনা তার মা বোন ও বোনের জামাইয়ের কুপরামর্শে সন্তান পুনরায় নষ্ট করার জন্য টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়েছে। তিনি রুনাকে খোজাখুজির পর না পেয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় নড়িয়া থানায় স্ত্রীর নিখোজ মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করে। শহিদুল আরো জানয়, স্ত্রী নিখোজ হলে আমি আমার শশুর শাশুরি ও আমার বাবা মা কে জানাই । স্ত্রীর খোজে আমার শশুর বাড়ী আমার বাবা মাকে পাঠালে তাদের অপমান অপদস্ত করে তাড়িয়ে দেয়। আমার স্ত্রীকে বিদেশ পাঠানোর জন্য লুকিয়ে রেখেছে আমার শশুর শাশুরি।
এব্যাপারে রুনার বাবা ছবেদ মোল্লা ০১৯৫৯৯৬৪৫৩৮ নাম্বরের মুঠো ফোনে আলাপ কালে জানায়, শহিদুল একটা বাটপার, আমার কাছ থেকে এপর্যন্ত ২৫ লাখ টাকা নিয়েছে। তাকে ঘর করে দিয়েছি। তার পরেও শহিদুল আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছিল। এখন আমার মেয়েকে গুম করে নাটক করছে। ১৪ ফেব্রুয়ারী নিখোজের ১ মাস পেড়িয়ে গেলেও মেয়ের সন্ধানে কেন নড়িয়া থানা বা মেয়েকে নিয়ে থাকার স্থানে আপনারা আসলেন না এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন আপনারা শহিদুলকে ধরে নিয়ে আসেন ওযে একটা বাটপাড় তার স্বাক্ষি ২ হাজার লোক দিবে।
অভিযোগটি তদন্দধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন নড়িয়ার ওসি মোঃ আসলাম উদ্দীন মোল্লা।তিনি জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।