
শরীয়তপুরের চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় জাজিরার মেয়র পুত্র মাসুদ বেপারীর অন্তরবর্তীকালিন জামিন বাতিল করেছেন বিচারক শরীয়তপুরের জেলা ও দায়রা জজ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস। ফের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
গত ০৮ জুলাই মামলা দায়েরের মাত্র ৮ দিনের মাথায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত মাসুদকে অন্তরবর্তীকালিন জামিন দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার ১১ জুলাই মাসুদ আদালতে হাজির হলে আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ভিকটিম নিজে ও তার মা-বাবা।
ভিকটিম কলেজ ছাত্রী বলেন, মাসুদ আমার আত্মীয় হয়। তারপরও ধর্ষন করতে পিছপা হয়নি। আমি তার পায়ে ধরে কেঁদেছি, তার রপরও রেহাই পাইনি। মাসুদ মুক্ত হয়ার পর চাপে ছিলাম। তাকে আবার কারাগারে দিয়েছে শুনলাম। আমি ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে ফাঁচাই।
আসামি মাসুদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান নজরুল বলেন, গত ৮ ই জুলাই আদালতের নিকট আসামির পক্ষে জামিনের আবেদন করি। মাসুদের স্ত্রী ও শিশু সন্তান অসুস্থ হওয়ার কারণে ৩ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন আদালত। তিনদিন পর ১১ ই জুলাই মাসুদের জামিন নামঞ্জুর করে দিয়েছে আদালত। জামিন দেওয়া না দেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে আদালতের।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মির্জা হযরত আলী বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে আসামিকে জামিন দেয়ার বিরোধীতা করা হয়েছিলো। ৮জুলাই তিন দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে ১১ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। শুনানির দিন ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার মাসুদের পক্ষে আইনজীবী জামিনের জন্য আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ জামিন না মঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন বিকেলে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা পৌরসভার মেয়র ইউনুছ বেপারীর বিবাহিত পূত্র মাসুদ বেপারী তার দু:সম্পর্কের আত্মীয়া হতদরিদ্র প্রান্তিক কৃষকের এক কলেজ পড়–য়া মেয়েকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটিকে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। নিজের বুদ্ধি আর সাহসিকতার জোরে মেয়েটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বিষয়টি রাত ১০টার দিকে জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জানতে পারলে মাসুদ বেপারীকে ওই দিন রাত আড়াইটার দিকে আটক করে। ৩০ জুন ওই মেয়েটি ও তার বাবা দুপুরে জাজিরা থানায় হাজির হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। ১ জুলাই ধর্ষক মাসুদকে আদালতের মাধ্যমে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
৭ জুলাই ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মাসুদের জামিন প্রার্থনা করে তার আইনজীবী । আদালত মাসুদের জামিন নামঞ্জুর করেন।
৮ জুলাই মেয়র পুত্র মাসুদের আইনজীবী এডভোকেট কামরুজ্জামান নজরুল জেলা দায়রা জজ আদালতে পূনরায় মাসুদের জামিন আবেদন করলে তিন দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন প্রদান করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ। অন্তর্বর্তীকালীন জামিন শেষে ১১ জুলাই শুনানির দিন মাসুদের আইনজীবী জামিনের জন্য আবেদন করলে জামিন না মঞ্জুর করা হয়।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |