
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৯ জনকে গুরুতর জখম, প্রায় ৩০টি বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৬ মে) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেনেরচর ইউনিয়নের মানিকনগর ও সেনেরচর দক্ষিনকান্দি এলাকায় দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাজিরা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, সেনেরচর দক্ষিনকান্দি গ্রামের সুমন শিকদারের সাথে একই এলাকার সেলিম শিকদারের জায়গা জমি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। বুধবার দুপুরে কাজীরহাট থেকে মটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে সেলিম শিকদার ও তার লোকজন সুমন শিকদারের গতিরোধ করে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও হাতুড়িপেটা করে গুরুতর জখম করে।
এ সময় সুমন শিকদার কোন রকমে দৌড়িয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে প্রাণ বাচায়। পরে খবর পেয়ে ভাই ব্রাদার ও আত্মীয় স্বজনরা এসে সুমন শিকদারকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এদিকে সেলিম শিকদার, আমির হোসেন মাদবর, সাবেক ইউপি সদস্য সুরুজ শিকদার ও ইলিয়াছ মাষ্টারের নেতৃত্বে হামলাকারীরা সুমন শিকদার ও তার পক্ষের লোকজনের প্রায় ত্রিশটি বসতঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট ঠেকাতে গিয়ে নারীসহ আরো ৮ জন গুরুতর জখম হন। আহতদের সবাইকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন সেনেরচর দক্ষিনকান্দি গ্রামে গিয়ে দেখা যায় হামলার বিভৎস চিত্র। হামলাকারীদের হাত থেকে ঘরের আসবাবপত্র, মটরসাইকেল কিছুই বাদ যায়নি। সবকিছু ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়া হয়েছে। গরু ছাগল হাস মুরগীও রক্ষা পায়নি হামলা থেকে। হামলার শিকার অসহায় নারী পুরুষ প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, হামলার শিকার গুরুতর আহতরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাতরাচ্ছেন।
এ বিষয়ে গুরুতর আহত সুমন শিকদার বলেন, সেলিম শিকদারের সাথে আমার জমি নিয়ে বিরোধ। সেলিম শিকদারের সাথে আমির হোসেন মাদবর, সাবেক ইউপি সদস্য সুরুজ শিকদার, ইলিয়াছ মাষ্টার সহ আরো অনেকে জোট বেধেছে। বুধবার দুপুরে আমি কাজীরহাট থেকে মটরবাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। সেনেরচর মানিক নগর এলাকায় পৌছলে তারা রাস্তায় বাশ ফেলে আমার মটরসাইকেলের গতিরোধ করে আমাকে এলোপাথারি কুপিয়ে ও হাতুড়িপেটা করে গুরুতর জখম করে। আমি কোন রকম দৌড়ে পাশের বাড়ি আশ্রয় নিয়ে প্রানে বাঁচি। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে নিয়ে আসার পর হামলাকারীরা আমার ও আমার পক্ষের লোকজনের প্রায় ত্রিশটি বতসবাড়ি, তিনটি মরটসাইকেল ভাংচুর ও লুটপাট করে। আমরা এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবো। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, সেনেরচর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় কোন পক্ষই এখনো অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |