Saturday 21st June 2025
Saturday 21st June 2025
পদ্মা সেতুর সুফল: মধু উৎপাদন বাড়ছে, বাড়ছে লাভ

শরীয়তপুরে বাণিজ্যিকভাবে মধু উৎপাদনে ব্যস্ত মৌ চাষিরা

শরীয়তপুরে বাণিজ্যিকভাবে মধু উৎপাদনে ব্যস্ত মৌ চাষিরা
শরীয়তপুরে বাণিজ্যিকভাবে মধু উৎপাদনে ব্যস্ত মৌ চাষিরা

শরীয়তপুর জেলায় রবিশস্য মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে মধু উৎপাদন হয়। এ বছর পদ্মা সেতুর সুফল পাচ্ছেন মৌ চাষিরা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারি ক্রেতারা এসে মধু কিনে নিয়ে যাওয়ায় মধুর দাম বেড়েছে। ফলে মৌ চাষিরা লাভের মুখ দেখছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলায় সরিষা, কালোজিরা, ধনিয়াসহ বিভিন্ন ফুলের মধু পাওয়া যায়। বর্তমানে সরিষার গাছে ফুল আসায় এসব ফুল থেকে বাণিজ্যিকভাবে মধু আহরোণ করছেন জেলার মৌ চাষিরা।

গত বছর শরীয়তপুরে সরিষা ফুলের মধু ৬ হাজার ৪৮০ কেজি, ধনিয়া ফুলের মধু ১২ হাজার ৭৫০ কেজি ও কালোজিরা ফুলের মধু ১১ হাজার ৩৭০ কেজিসহ মোট ৩০ হাজার ৬০০ কেজি মধু উৎপাদন হয়েছিল। এসব মধু উৎপাদন করতে ১০ হাজার ২০০টি মৌ বাক্স স্থাপন করা হয়েছিল। এবছর এখন পর্যন্ত মধু আহরোণের জন্য শরীয়তপুর জেলার বিভিন্নস্থানে ১ হাজার ৫০টি মৌ বক্স স্থাপন করা হয়েছে।

শরীয়তপুরের মৌ চাষি জাহিদ হাসান বলেন, সারা বছর মৌমাছিদের লালন-পালন, কর্মচারীদের বেতনসহ আমার খরচ হয় ৩ লাখ টাকা। এবছর আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় মধু উৎপাদন তুলনামূলক কম হলেও আমার টার্গেট বর্তমান মৌসুমে ৮ লাখ টাকা মূল্যের মধু উৎপাদন করা। টার্গেটের বড় একটা অংশ আমি সরিষা ফুলের মধু থেকে উত্তোলন করতে পারব বলে আশাবাদী।

জাহিদ হাসানের মৌ খামারে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন রিয়াদ হোসেন। তিনি বলেন, প্রথম দিকে মৌমাছিকে ভয় লাগত। এখন মৌমাছির সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। মৌ খামার থেকে যে বেতন পাই, তা দিয়ে আমার সংসার চলে যায়। আবহাওয়া ভালো থাকলে মালিক মৌসুম শেষে বেশি করে সম্মানি দেন। এবছর আবহাওয়া ভালো না হলেও আলহামদুলিল্লাহ মধু উৎপাদন ভালোই হবে বলে মনে হচ্ছে।

শরীয়তপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ বলেন, রবিশস্য মৌসুমে জেলার মৌ চাষিরা উৎসাহ নিয়ে মধু উৎপাদন করেন। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় নিজেদের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি মানবদেহের জন্য উপকারী মধু উৎপাদন করে তারা দেশের অর্থনৈতিক চাকাকে সচল রাখতে ভূমিকা রাখেন। গত বছরের তুলনায় এবছর আমাদের মধু উৎপাদন বেশি হবে বলে আশা করছি।