
শরীয়তপুর সরকারি কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহিদ দিবস-২০১৯ উদযাপিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় রাত ১২ টা ১ মিনিটে শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মনোয়ার হোসেন, শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ বেপারী এবং সাধারণ সম্পাদক রাসেল জমাদ্দারসহ অন্যান্যরা শহীদদের উদ্দেশ্যে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
কলেজ পতাকা মঞ্চে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল আটটায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্র নেতৃবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ কালো ব্যাজ ধারণ করেন এবং কলেজ শহিদ মিনারে প্রথমে অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মনোয়ার হোসেন শহিদদের উদ্দেশ্যে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ, কলেজ শাখা ছাত্রলীগ, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, অনার্স পাঠদানকারী বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, দর্শন, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ব্যবস্থাপনা, হিসাববিজ্ঞান, মার্কেটিং, গণিত ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রী এবং কর্মচারীদের নিয়ে এবং ছাত্রাবাসের আবাসিক ছাত্ররা হোস্টেল সুপারের নেতৃত্ব পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
সকাল সাড়ে আটটায় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কবিতা আবৃত্তি এবং রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল দশটায় সাহিত্য-সংস্কৃতি বিভাগের আয়োজনে আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মোহাম্মদ এমরান সরদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. এস. এম. মনির হোসেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মনোয়ার হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় অংশ নেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল জমাদ্দার, সভাপতি সোহাগ বেপারী, সহকারী অধ্যপক আবদুস সোবহান বাবুল, বিশেষ অতিথি মিজানুর রহমানসহ অন্যান্যরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মো. মনোয়ার হোসেন মহান ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করেন এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় করেন। এরপর পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা এগারটায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অতিথিবৃন্দের উপস্থিতে শহিদদের উদ্দেশ্যে বিশেষ দোয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া বাদ আসর কলেজ মসজিদেও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা নমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিবসের সকল কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষিত হয়।