Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট তবুও স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে খুশি রোগিরা

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট তবুও স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে খুশি রোগিরা

শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার ৩১ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে চিকিৎসক সংকট তবুও স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে খুশি অন্ত ও বর্হি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগিরা। ৩১ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৯জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও ৫ জন চিকিৎসক প্রতিদিন প্রায় অন্ত ও বর্হি বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৫শত রোগির সেবা দিয়ে মন জয় করে নিচ্ছেন রোগিদের। তবে কিছু ঔষুধের সংকট থাকায় বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে রোগিদের।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৯৭৯ সালে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলায় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন চিকিৎসক থাকার কথা রয়েছে। চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯ জন চিকিৎসক পাননি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। চিকিৎসক সংকট থাকার পরেও ৫ জন চিকিৎসক দিয়ে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ১০০ শয্যার মানের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। প্রতিদিন অন্ত ও বর্হি বিভাগে প্রায় ৫শত রোগি দেখেন চিকিৎসকরা। ৩১ শয্যার বরাদ্দ করা ঔষধ দিয়ে প্রায় ১শ শয্যা সমান রোগিদের চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে তাদের। আর এ কারনেই ঔষধের সংকট হচ্ছে। তাই বাহির থেকে ঔষধ কিনতে হচ্ছে রোগিদের।
চিকিৎসা নিতে আসা, বাবুল, মাসুদা ,মতিয়া বেগম বলেন, চিকিৎসক সংকট হলেও আমরা তা বুঝতে পারি না। কারণ চিকিৎসা নিতে এসে কখনো আমরা সেবা থেকে বঞ্চিত হইনি। জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে আমরা সব সময় বিনা মুল্যে চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকি। নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা ভর্তি রোগি নুর নাহার (৪৫) বলেন, আমি নড়িয়ার বাসিন্দা হওয়ার পরেও সেবার মান ভালো হওয়ায় জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসি। আজ ৪ দিন যাবৎ এখানে ভর্তি রয়েছি। তাদের চিকিৎসা সেবা পেয়ে আমি খুশি।
এ ব্যাপারে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহামুদুল হাসান বলেন, আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট তীব্র। আর এই সমস্যাটি দীর্ঘদিন ধরে চলছে। যে ডাক্তাররা আছেন তারা অতিরিক্ত দায়িত্বপালন করতে গিয়ে অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই এখানের চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি প্রয়োজন। জনবল সংকট থাকার পরেও প্রতিদিন অন্ত ও বর্হি বিভাগে প্রায় ৫শত রোগিকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি। পর্যাপ্ত চিকিৎসক এবং পর্যাপ্ত শয্যার ব্যবস্থা থাকলে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাপক সংখ্যক রোগী চিকিৎসা নিতে পারতেন।