
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় মারিয়া আক্তার (১৩) নবম শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাজিরা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। ওই মামলায় আনোয়ার মোল্যা নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মারিয়া জাজিরা উপজেলার চর ধুপুরিয়া সরদার কান্দি গ্রামের মোতাহার খানের মেয়ে। সে জেলার নড়িয়া উপজেলাধীন মজিদ-জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজে নবম শ্রেনীর ছাত্রী।
পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, মারিয়া প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে জাজিরা উপজেলার কাজীরহাট বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সেখান থেকে স্কুলের বাসে স্কুলে যাতায়াত করে। স্কুলে যাতায়াতের পথে জাজিরা উপজেলার পূর্ব আড়াচন্ডি তালুকদার কান্দি গ্রামের মান্নান মাদবরের ছেলে রিয়াজ মাদবর (২১) মারিয়াকে পছন্দ করে এবং বিয়ে করবে বলে উত্যক্ত করে আসছিল। মারিয়ার কাছে বিষয়টি জানতে পেরে তার পরিবার বিষয়টি রিয়াজের পরিবারকে জানায়। কিন্তু রিয়াজের পরিবার রিয়াজকে সংশোধন না করে তারা রিয়াজের সাথে মারিয়ার বিয়ের প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবে মারিয়ার পরিবার রাজি না হওয়ায় রিয়াজ ও তার পরিবার মারিয়ার পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং যে কোন মূল্যে রিয়াজের সাথে মারিয়ার বিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল সোয়া ৬টার সময় মারিয়া স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর মারিয়া আর বাড়ি ফিরে না আসায় মারিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে জাজিরা থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করা হয়। পরে মারিয়ার পরিবার জানতে পারে, মারিয়া স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সকাল পৌনে ৭টার দিকে কাজিরহাট বাসস্ট্যান্ডে ইউনুছ টেপার মার্কেটের সামনে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় রিয়াজ মাদবর সহ আসামীরা মারিয়ার হাত, পা ও মুখ চেপে ধরে একটি মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনা জানতে পেরে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মারিয়ার বাবা মোতাহার খান বাদী হয়ে রিয়াজ মাদবর, রিয়াজ মাদবরের বাবা মান্নান মাদরব (৫০), মা রাহিলা বেগম, মামা আনোয়ার মোল্যা সহ পাঁচজনকে আসামী করে জাজিরা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আনোয়ার মোল্যাকে আটক করেছে পুলিশ।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলায়েত হোসেন বলেন, স্কুলছাত্রী অপহরনের ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছে। মামলায় আনোয়ার মোল্যা নামে এক আসামীকে আটক করা হয়েছে। স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও বাকি আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।