
শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পশ্চিম নাওডোবা বাজারে নাসির স্টোর নামে একটি মুদি দোকানে তালা ও কেচি গেইট ভেঙ্গে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাদির হাওলাদার এর ছেলে রতন হাওলাদার (২৮), পাষান মোড়লের ছেলে হোসেন মোড়ল (২৬) ও আঃ জলিল মুন্সীর ছেলে ইলু মুন্সীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন দোকান মালিক নাসির শেখ। এতে করে নাসির স্টোর থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভুগি দোকানদার। এই ঘটনায় বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি জাজিরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২৫ তারিখ আনুমানিক ৩ টার সময় তিনটি লোক দোকানটির সামনে অবস্থান করছিলো। সেখানকার স্থানীয় নৈশ প্রহরী মালেক হাওলাদার স্পষ্ট স্বিকারোক্তিতে জানায়, আমি গভীর রাতে দোকানের আশেপাশে তিনজনকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখি। ঘোরাঘুরি করার ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে রতন হাওলাদার (২৮), হোসেন মোড়ল (২৬) ও ইলু মুন্সী আমাকে হুমকি ধামকি দেয় এবং দোকানের সামনে থেকে তাড়াইয়া দেয়।
পরদিন সকালে দোকানের মালেক দোকানটি খুলতে গেলে দেখে দোকানের শাটার এবং ভিতরে কেচি গেইটের তালা ভাঙ্গা এবং দোকানের শাটার খুলে ভিতরে প্রবেশ করলে দোকনের ভিতরে থাকা মূল্যবান ২০০ কার্টুন বেনসন, ১০০ কার্টুন গোল্ড লিফ, ১০০ কার্টুন স্টার, ১৫০ কার্টুন ডারবী, ৫০ কার্টুন নেভী ও ৫০ কার্টুন শেখ সিগারেট নাই। যাহার বাজার মূল্য ১০ লক্ষ টাকা।
দোকান মালিক নাসির শেখ বলেন, ২৪ তারিখ মঙ্গলবার সকালে আমি বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট ক্রয় করে আমার দোকানের মেঝেতে রাখি, একই তারিখে রাত ৯ টার দিকে দোকানটি বন্ধ করে তালা দিয়ে পাশের একটি ওয়াজ শুনতে যাই। ওয়াজ শেষে রাত অনুমানিক ১১ টার দিকে দোকানটির সামনে যাই এবং দোকানটির শাটার তালা সব ঠিক দেখিয়া বাড়িতে চলিয়া যাই। পরদিন সকালে আমার পিতা দোকানের সামনে এসে দেখে দোকনটিতে লুট হয়েছে। এই ঘটনার পর পর এখানকার স্থানীয় ঠান্ডু চৌকদার, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী ফজলুল হক মাদবর, আব্দুর রাজ্জাক বেপারী সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাই। তারা সময় নিয়ে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বাজার কমিটির সভাপতি কাদির হাওলাদারকে একাধিকবার বলা হলে, বিষয়টি অস্বীকার প্রকাশ করেন এবং চুরি হওয়া মালামালের উদ্ধারের চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হয়। আমি জাজিরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। আইন শৃঙ্খলা বাহীনীর কাছে আমার দাবি, তারা যেনো সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধিদের উপযুক্ত বিচার করে। তা না হলে আমার ও আমার পরিবারের কি উপায় হবে।
পশ্চিম নাওডোবা ইউনিয়ন চেয়রম্যান হাজী ফজলুল হক মাদবর বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। দোকান মালিক বিষয়টি আমাদেরকে জানালে আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের পরিবারকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করি, তারা অস্বীকার করেন। ভুক্তভোগীদের আমি থানায় গিয়ে অভিযোগ করার পরামর্শ দেই।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল আমার পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে প্রকৃত ঘটনার রহস্য বের করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।