
জেলার জাজিরা উপজেলায় প্রত্যন্ত চর অঞ্চলের আলোচিত গৃহবধু আছিয়া খুকুমনির (২৬) মৃত্যুর রহস্য উম্মোচন হয়নি। খুকুমনি মালয়শিয়া প্রবাসী ইমানের স্ত্রী। গ্রামের বাড়ি উপজেলার জাজিরা থানাধীন কুন্ডেরচর ইউনিয়নের আব্বাস বেপারীর (বাবুর চর) কান্দি। গত ২৪ অক্টোবর/১৮ সালে তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। নিহতের বাবা হারুন জমাদ্দার জাজিরা থানায় ৪ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত খুকুমনি মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গী বাড়ী থানার সোরহাব মল্লিক কান্দি বিদগাও গ্রামের হারুন জমাদ্দারের মেয়ে।
বাবা হারুন জমাদ্দার বলেন, আরো ৫ বছর আগে খুকুমনির বিয়ে হয় পাশর্^বতী গ্রামের শিরাজ বেপারীর ছেলে মালয়শিয়া প্রবাসী ইমানের সাথে। দূর্ভাগ্যক্রমে বিবাহর পর থেকেই শশুরবাড়িতে খুকুমনিকে যৌতুকের জন্য জ¦ালা-যন্ত্রনা ও মারপিট করত। ইতিমধ্যে খুকুমনির গর্ভে ২টি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সন্তান জন্ম নেয়ার পরও সংসারে শান্তি হয় নাই। খুকুমনি ওর কষ্টের কথা আমাদের বাড়িতে এসে বলতো। শিশু দুইটার দিক চিন্তা করে ওকে বুঝাই শুনাইয়া আবার ইমানদের বাড়ি পাঠাইতাম। খুকুমনির শশুর, শাশুরী, ননদ ও বাড়ি পার্শে^ ননদ জামাই সহ জ¦ালা-যন্ত্রনা দিত। এবার ইমান বেপারী বিদেশ থেকে বাড়ি আসার পর খুকুমনির উপর জ¦ালা-যন্ত্রনা, মারপিট আরও বেশী বেড়ে যায়। মারপিটের কারনে খুকুর শরীরে দাগ আছে, যাহা পুলিশ ছুরতহাল রিপোর্টে বর্ণনা দিয়েছেন। অনেক দেন-দরবার করেও খুকুর সংসার করা হলো না। খুকুমনিকে ওর স্বামী ইমান বেপারী ঘটনার দিন সন্ধ্যায় গলায় ফাঁস দিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যা করে, ইমন বেপারীসহ বাড়ি সবাই পালিয়ে যায়।
বাড়ির আশ-পাশের্^র লোকজন এসে দেখে খুকুর স¦ামী ইমন, শাশুরী ও শশুর সহ কেউ বাড়ি নাই। বাড়ির পূর্ব পাশে ফজলে মাঝীর স্ত্রী ক্ষেন্ত বিবি বলেন, আছরের সময় খুকুর ও ইমন দুই জনের ঝগরা ছাড়াইয়া দিছিলাম, এত তাড়াতাড়ি খুকু মারা গেল কি ভাবে আমি মাগরিবের নামাজ পড়ে ইমনদের বাড়ি যাইয়া দেখি ওরা বাড়িতে নাই, অন্য অন্য লোকজনে বলাবলি করে।
একই গ্রামের আব্বাস মৃধার স্ত্রী লালমতি বলেন, ঘটনাটি শুনে যাইয়া দেখি ইমান সহ ওর বাবা ও মা সকলে মিলে ঘরের মালামাল সরাইয়া ফেলতেছে। আর খুকু পশ্চিম এর ঘরের খাটের উপর শোয়া অবস্থায় পড়ে আছে।
পুলিশ খুকুর আত্মহত্যা করেছে বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করিলেও পরিবারের ধারনা খুকুমনিকে যৌতুকের কারনে হত্যা করেছে ইমন। মামলার বাদী হারুন জম্মাদ্দার ঐ প্রতিবেদনের উপর আপত্তি করিলে আদালত সি.আই.ডি. কে তদন্তের নির্দেশ দেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |