
বিকেনগর ডিগ্রী কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুর ১টার দিকে কলেজ গেইট ব্রিজের উপর এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে জাজিরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
আহত শিক্ষার্থীর নাম আকরাম মাদবর (২৫)। তিনি বিকেনগর ডিগ্রী কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাছাড়া তিনি বিকেনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আহত অবস্থায় জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন আকরাম।
ভুক্তভোগী ছাত্র ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, বিকেনগর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সরদার ও সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মাদবরের সাথে দীর্ঘদিন যাবত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্বশত্রুতার জেরে সোমবার দুপুরে সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের ভাতিজা আকরাম মাদবর কলেজে ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। বিকেনগর বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ গেইট ব্রিজের উপরে গেলে পূর্বে ওৎঁ পেতে থাকা বিকেনগর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সরদার, রানা সরদার, রায়হান সরদার, আব্দুল সরদার, ইদ্রিস সরদার, ইকবাল সরদার, রব সরদার, রাজ্জাক মাদবর, নাসির মাদবর, ফয়সাল সরদার, কামরুজ্জামান মাদবর, কামরুল চোকদার, ফয়সাল বেপারীসহ ১৫/২০ জন লোক আকরাম মাদবরকে লাঠি, রড ও এসএস পাইপ দিয়ে এলোপাথারীভাবে পিটাতে থাকে। তখন আকরাম মাটিতে লুটিয়ে পরে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে জাজিরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
বিকেনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মাদবর বলেন, আমার ভাতিজাকে একলা পেয়ে চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সরদারের হুকুমে তার লোকেরা রড ও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এর সঠিক বিচার চাই।
বিকেনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সরদার বলেন, আমি ঢাকায় আছি। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।
জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।