
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে ফোরহাদ মল্লিক (৩০) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় সাত আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া তাদের কাছ থেকে ১টি দেশীয় রিভলবার সদৃশ্য শর্টগান, পিস্তলের ৪টি গুলি, পিস্তলের ৪টি খালি কর্তুজ, শর্টগানের ১টি খালি কার্তুজ ও ৫টি রাম দা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফেতারকৃতরা হলেন মোহাম্মদ আলী বেপারী (৩২), মতিউর রহমান ওরফে মতি মোল্যা (৩০), মোতালেব মোল্যা (৩৫), ফজলু মোল্যা (৪২), এরশাদ বেপারী (৩৮), শুভ মুন্সী (২৮) ও সোহেল খা (৩৫)।
এ ঘটনায় নিততের বাবা বাদী হয়ে জাজিরা থানায় ৬৭ জনকে আসামী করে হত্যা দায়ের করেছেন।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারী) বিকেলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া প্রেস রিলিজে বলা হয়, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়কে কন্দ্রে করে গত বুধবার (২৭ জানুয়ারী) বেলা ১১ টার দিকে জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের তাহের মল্লিক কান্দী গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংর্ঘষ হয়। এ সংর্ঘষে বন্দুক, শর্ট গান, পিস্তল/রিভলবারসহ আরও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করা হয়। ব্যাপক সংর্ঘষ চলাকালে গুলি বিদ্ধ হয়ে ১জন মৃত্যুবরণ করে এবং ২ জন মুর্মূষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলজে হাসপাতালে ভর্তি আছে। ঘটনার পর থেকে জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল আসামীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের তাহের মল্লিক কান্দী গ্রামের কালাম মল্লিকের সঙ্গে একই এলাকার জুলহাস বেপারীর দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। গত বুধবার সকালে কালাম মল্লিক বিরোধপূর্ণ জমিতে বাড়ি করার জন্য ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় জুলহাস বেপারীর পক্ষের শর্টগানের গুলিতে কালাম মল্লিক পক্ষের ফোরহাদ মল্লিক, দিদার মুন্সী ও রেজাউল মল্লিক গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ফোরহাদকে মৃত ঘোষণা করেন। দিদার ও রেজাউলকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
নিহত ফোরহাদ ওই গ্রামের তৈয়ব আলী মল্লিকের ছেলে। সে পেশায় অটোরিকশা চালক। আহত দিদার একই এলাকার আলমগীর মুন্সীর ছেলে ও রেজাউল কামাল মল্লিকের ছেলে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ৬৭ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৭ আসামীকে গ্রেফতার এবং শর্টগান, গুলি, কার্তুজ ও রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকী আসামী ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলমান রয়েছে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |