
শরীয়তপুরের জাজিরা ইউনিয়নের পাথালিয়া কান্দি গ্রামে ফারুক মাদবরের বসত ঘর ভেঙ্গে ও লুট করে ব্যক্তিগত ও পূর্ব শত্রুতা উদ্ধার করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সাথে ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করা হয়েছে বলে জানাগেছে। আনিছ মাদবরের নেতৃত্বে এই ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। এই বিষয়ে জাজিরা থানায় লিখিত একটি অভিযোগ করেছে বলে দাবী করেছে ফারুক মাদবর।
সরেজমিনে ঘুরে স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্ত পারিবার সূত্রে জানা গেছে, পাথালিয়া কান্দি গ্রামের মৃত জলিল মাদবরের ছেলে ফারুক মাদবরের সাথে সামেদ আলী মাদবরের ছেলে আনিস মাদবরের নিষিদ্ধ দ্রব্য (বারুদ ও মাদকদ্রব্য) ব্যবসা নিয়ে পূর্বে থেকেই বিরোধ চলে আসছে। ইতোপূর্বে একে অপরকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে এলাকায়। সেই বিরোধের জের ধরে গত ২৭ জুলাই সকাল সাড়ে নয়টার সময় আনিস মাদবর তার পক্ষের জুলহাস মাদবর, দুলাল মাদবর, স্বপন মাদবর, রুবেল মাদবর, সোহেল মাদবর, আল আমিন মাদবর, জামাল মাদবর, নাসির মাদবর, রাজিব মাদবর, তুহিন মাদবরদের সাথে নিয়ে হামলা চালায়। এই সময় হমলাকারীরা ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে এবং ফারুক মাদবরের ঘর ভাংচুর ও লুট করে।
এই বিষয়ে ফারুক মাদবরের স্ত্রী রেশমা আক্তার, মেয়ে ফারজানা আক্তার ও ভাই জাহাঙ্গীর মাদবর জানায়, আনিস মাদবরসহ ২০ থেকে ২৫ জন লোক ককটেল, রামদা, লাঠিশোটা নিয়ে এসে ফারুক মাদবরের ঘর ভাংচুর করে। এই সময় ঘরের উপর ককটেল নিক্ষেপও করে। পরবর্তীতে দরজা ভেঙ্গে হামলাকারীরা ঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ও তৈজসপত্র ভাংচুর করে, নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে ফারুক মাদবর বলেন, হামলাকারীরা অবৈধ বারুদের ব্যবসা করে। আমি তাদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেই। সেই থেকেই আমার সাথে শত্রুতা করে আসছে হামলাকারীরা। তার জের ধরেই আমার বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুট করেছে। এই বিষয়ে আমি জাজিরা থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি।
অভিযুক্ত আনিস মাদবর জানায়, ফারুক মাদবর অস্ত্র মামলার আসামী। তাছাড়া এলাকায় মাদকের ব্যবসা করে। সে কারোর বাধা মানে না। তাই এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে বাড়িতে ভাংচুর করেছে। তবে কোন লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। ফারুক নিজেই তার ঘরে ককটেল ফাটায়।
এই বিষয়ে জাজিরা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাহাবুব রহমান বলেন, জাজিরা ইউনিয়নের পাথালিয়া কান্দিতে একটি ভাংচুর ও লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |