
পদ্মা নদীর শরীয়তপুর টার্নিংয়ে যাত্রীও পরিবহনবাহী দুটি ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় খোকন (৩৫) একজন পিকআপ ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ ও আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এছাড়া বেশকিছু গাড়ি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। রবিবার(১৯ জুন) ভোর পৌনে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত খোকন ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া চিংবাখালি এলাকার হারুণ শিকদারের ছেলে।
বেগম রোকেয়া ফেরির মাস্টার মিন্টু রঞ্জন দাস বলেন, নদীতে অনেক স্রোত ছিল। জাজিরা পয়েন্টের কাছাকাছি মোড়ে পৌঁছালে স্রোতের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেরি সুফিয়া কামালের সঙ্গে আমার ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আমার ফেরিতে থাকা ৮-১০টি গাড়ির ক্ষতি হয় এবং পিকআপ ভ্যানচালক নিহত ও নদীতে পড়ে একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিসি’র মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ আলী জানান, প্রতিদিনের মতো যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে একটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাট থেকে মাঝিকান্দি যাচ্ছিল। অপরদিকে অন্য একটি ফেরি মাঝিকান্দির ঘাট থেকে শিমুলিয়া যাচ্ছিল। তখন পদ্মা নদীর টার্নিং পয়েন্টে এলে দুই ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
ফেরির চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত থেকেই পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড স্রোত ছিল। এই স্রোতের মধ্য দিয়ে ফেরি চলাচল করছিল। ভোর রাতের দিকে বেগম রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল নামে দুই ফেরি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। এ সময় তাদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি ফেরির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এ সময় ফেরিতে থাকা একজন গাড়ির চালক আহত হয়। আরেক চালক নদীতে পড়ে যায়। সংঘর্ষের পর দুটি ফেরিই নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে যানবাহন ও যাত্রীদের নামান।
ফেরি সুফিয়া কামাল ফেরির মাস্টার মোহাম্মদ হাসান বলেন, নদীতে প্রচণ্ড স্রোতে টার্নিংয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। তবে যাত্রীরা জানিয়েছেন, অবহেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে এই রুটে ছয়টি ফেরি চলাচল করছে। দুর্ঘটনাকবলিত ফেরিতে অর্ধশতাধিক যান এবং দুই শতাধিক যাত্রী ছিলেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |