
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে অবস্থিত আব্দুল গণি উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের যে শিক্ষকগণ মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের জন্য মরণোত্তর সম্মাননা এবং বিদায়ী শিক্ষকদের জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার ২৬ মে সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ, শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় পালেরচর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফরাজি, পালেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মোতালেব দড়ি, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোতালেব হোসেন, প্রাক্তন শিক্ষার্থী হেলাল উদ্দিন মাসুদ, শাহাদাত দড়ি, শাহীন হাওলাদার, মনজুরুল ইসলাম দড়ি, শাহাবুদ্দিন বেপারী, ইমরান হোসেন দড়ি, আব্দুস ছালাম, রবিউল ইসলাম রুবেল, মো. ইকবাল, শামীম দড়ি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক উপপ্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কোতোয়ালসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
মরণোত্তর সম্মাননা পাওয়া শিক্ষকরা হলেন শামস উদ্দিন আহম্মেদ, মৌলভী আলী আকবর, আব্দুল মজিদ মিয়া, পিয়ারা আক্তার। এছাড়া মো. শাহজাহান মিয়া, মো. আবুল বাশার মিয়া, কেএম বেলায়েত হোসেন ও মো. মোজাম্মেল হক আকন্দকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়। জিনিয়া আক্তার মাহমুদা বলেন, আমি মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। আমার বাবা মো. শামস উদ্দিন আহমেদ আব্দুল গণি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি ২৩ বছর সম্মানের সঙ্গে শিক্ষাকতা করেছেন। ২০০৬ সালে বাবা মারা যান। তাঁর প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা। তিনি বলেন, বাবার মৃত্যুর পর কেউ তাঁর নাম উচ্চারণ করেননি। আব্দুল গণি উচ্চ বিদ্যালয় আমার বাবার কর্মযজ্ঞ মূল্যায়ন করে সম্মাননা দিয়েছে। এটা গৌরবের ও সম্মানের। আগত অতিথিরা বলেন, শিক্ষকেরা সামনে এসে নেতৃত্ব দিয়ে সব বদলে দেন। সামনের দিকে পথচলার প্রেরণা দেন। অন্য পেশায় তেমনটা নেই। আমরা শিক্ষকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।