
শরীয়তপুরের সদর উপজেলায় গ্রাহকদের জনপ্রতি প্রায় ১০ হজার টাকা নিয়ে ‘রংধনু সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামের একটি ভুয়া এনজিও’র কর্মীরা উধাও হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৬ আগষ্ট) বিকেলে টাকা ফেরতের দাবিতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের আবুড়া গ্রামে ওই এনজিও অফিসের একটি সমিতি নান্নু খানের বাড়িতে গ্রাহকরা অবস্থান নেন।
গ্রাহকরা জানান, ‘রংধনু সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামের এই এনজিও টি নতুন এসেছে। তারা উপজেলার ডোমসার ও কোয়ারপুর নামক স্থানে ভাড়া নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। ডোমসার ও চিকন্দী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে লোন ও দশ বছর পর্যন্ত মাসিক ২৫ কেজি চাল এবং তিন বান করে টিন দেওয়ার কথা বলে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় নিয়েছে তারা। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারীতে চালু হওয়া ওই প্রতিষ্ঠানটির আগষ্ট মাসের পহেলা তাদের ২৫ কেজি চাল এবং তিন বান করে টিন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২৫ কেজি চাল এবং তিন বান করে টিন তো দুরের কথা তাদের কষ্টে উপার্জিত সঞ্চয়ের টাকাসহ ওই ১০ হাজার টাকা করে ৬টি সমিতি থেকে প্রায় ২০০ জনের নিকট থেকে ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ‘রংধনু সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামের এই সমিতিটি।
তারা আরও জানান, আমরা সরকার অনুমোদিত ‘রংধনু সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’ কে বিশ্বাস করেছিলাম এইজন্য যে, তারা প্রথমে আমাদের ৩ জনসহ কিছু গ্রাহককে ২৫ কেজি চাল এবং তিন বান করে টিন দিয়েছিল। যা দশ বছর যাবৎ এভাবেই প্রতি মাসে তারা পেতে থাকবে। এ কথা বিশ্বাস করে সকল গ্রাহক করোনা ও বন্যা দুর্যোগ কাটানোর জন্য প্রত্যেকে ১০ হাজার করে টাকা সঞ্চয় দেয়।
সমিতির অংশীদার শামসুল আলম মোবাইল ফোনে বলেন, রংধনু সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড এ আমিও একজন বিনিয়োগকারী। শুনেছি সমিতির ম্যানেজার ছুটিতে গিয়ে এখনো ফিরেনি। আমার বিনিয়োগের টাকা নিয়ে আমি চিন্তিত আছি।
রংধনু সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড-এর সভাপতি সেলিনা বেগম বলেন, রংধনু সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি আমি। আমাদের সমিতি সদস্যদের দশ বছর পর্যন্ত মাসিক ২৫ কেজি চাল এবং তিন বান করে টিন ও জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় নিয়েছে। এটা আমার জানা নেই।
রংধনু সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড-এর মালিক ইয়ার হোসেন বলেন, আমাদের সমিতি সদস্যদের দশ বছর পর্যন্ত মাসিক ২৫ কেজি চাল এবং তিন বান করে টিন দেওয়ার আশ্বাস দেয়নি এবং ১০ হাজার করে সঞ্চয় নেয়নি।