
৩০ আগষ্ট রবিবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় বিনোদপুর ইউনিয়নের সুবেদারকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় ৭ জন আহত হয়। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১ লা সেপ্টেম্বর সকালে চাচার হামলায় আহত ভাতিজি নাসিমা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তিরত অবস্থায় বলেন, আমার মা গত শুক্রবারের দিন মারা গেছে। আমি ঢাকা থেকে এসেছি মায়ের মিলাদে। আমার ভাই জাহিদুল আমার চাচা নুরু বেপারিকে মিলাদের দাওয়াত দিতে যায়। তখন আমার ভাইরে ধইরা তিন বাপ-পুতে ইচ্ছা মতো পিটাইছে। আমরা বাড়িতে বসে আমার মায়ের জন্য দোআ করতেছিলাম। এর ভেতর আমার চাচাতো ভাই একটা ছেন দা, একজন মাছ ধরার ট্যাটা আর আমার চাচা নুরু বেপারি লাঠি দিয়ে আমাদের ইচ্ছা মতো পিটাইছে। কি করণে মেরেছে জিঙ্গাসা করলে, নাসিমা কেঁদে বলেন, আমার বাপ নাই, মা নাই। আমাদের দুনিয়াতে রাখবে না। আমাকে ও আমার ভাইকে মারতে পারলে সব সম্পত্তি চাচা খাবে। এখন আমরা কিভাবে বাড়িতে থাকবো। আমি এর বিচার চাই।
স্থানীয়দের কাছে জানা যায়, মৃত মোজ্জামেল বেপারির ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৮) বাবা ১৫ বছর আগে মৃত্যু বরন করেন। মা গত ৪ দিন আগে মৃত্যু বরন করেন। রবিবার জাহিদুলের মায়ের মৃত্যুতে ভাই, বোন মিলে মিলাদের আয়োজন করেন।
সেই দিনেই জাহিদুলের চাচা নুরু বেপারি (৬৫) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাতিজা জাহিদুল (১৮) ভাতিজি ইয়াসমিন (১৭) সারমিন (১৬), নাসিমা (২৫) ও তাদের খালা রসনেছা বেগম (৩০)কে পিটিয়ে আহত করেন। অপরপক্ষে নুরু বেপারি (৬৮) ও তার ছেলে গোলাম মোস্তফা (২২)।
আহত জাহিদুলের আরেক চাচা মোকলেছুর রহমান বলেন, শুধু জাহিদুলদের না। জাহিদুলের বাবা মৃত্যুর পর ওর মাকেও নানান সময় মারধর করতো আমার ভাই নুরু বেপারি। আমি মসজিদের ইমামতি করি। এসব আর ভালো লাগে না।
এলাকার মুরব্বি হালিম মুন্সি বলেন, ওরা দরিদ্র, একেবারে এতিম। এদের মারা মোটেও ঠিক হয় নাই। গ্রামের সবাই এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছে।
এ ব্যাপারে নুরু বেপারি বলেন, আমার মেয়েকে ওরা গলা চেপে ধরে মারছিল। আমি সহ্য করতে না পেরে মেরেছি। দুই পক্ষের মারামারির পর আমরাও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এখন বিষয়টি এলাকায় যারা ছিলো, আছেন তারা মিমাংশা করবেন।