
বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে রাস্তার ক্ষতি এড়াতে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার উদ্দেশ্যে শরীয়তপুর পৌরসভার বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে রাস্তায় আরসিসি পিলার পুতে দেয়া হয়েছিল জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে। বন্যার উন্নতি হয়েছে অনেক আগেই। কিন্ত রাস্তায় পুতে রাখা আরসিসি পিলার দীর্ঘ দিনেও না সরানোর কারণে যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে শরীয়তপুর জেলা শহরে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে মালবাহী ট্রাক ঢুকতে না পারায় সাধারণ ব্যবসায়ীরা যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে, অন্যদিকে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন।
শরীয়তপুর পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার পালং উত্তর বাজার থেকে প্রেমতলা, পালং উত্তর বাজার থেকে কানাবাজার, চৌরঙ্গী থেকে স্বর্নঘোষ, পাকার মাথা থেকে আটং, রাজগঞ্জ থেকে আংগারিয়া, বাসস্ট্যান্ড থেকে কুরাসি পর্যন্ত রাস্তার প্রবেশ পথে রাস্তার মাঝখানে আরসিসি পিলার দিয়ে প্রত্যেক রাস্তায় একটি সাইন বোর্ড টানিয়ে দেয়া হয়। সেখানে লেখা জরুরী বিজ্ঞপ্তি অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে এই রাস্তা সাময়িক ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। আর্দেশক্রমে মেয়র শরীয়তপুর পৌরসভা।
পৌরবাসীর অভিযোগ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার কারণে ভারী যানবাহন চলাচল করলে সহসায় রাস্তা ভেঙ্গে যাবে, তাই রাস্তার মাঝে আরসিসি পিলার পুতে রেখেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
পৌরসভাধীন প্রেমতলা এলাকার ব্যবসায়ী আঃ মালেক বলেন, পৌর সভার রাস্তাগুলো নির্মাণ করার পরে রাস্তার মাঝখানে আরসিসি পিলার পুতে দেয়ার কারণে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। আমরা মালামাল পরিবহন করতে পারছি না। ফলে ব্যবসার কাজে আমাদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। রাস্তার কাজ খারাপ মালামাল দিয়ে করার কারণে এ খুঁটি পুতে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
পালং স্কুল রোড এলাকার ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের পালং স্কুল রোড থেকে রাস্তার মাঝখানে আরসিসি পিলার পুতে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধের নামে আমাদের মালামাল পরিবহনে সমস্যার সৃষ্টি করছে।
পৌরবাসী আলী আকবর বলেন, পৌর এলাকার কাজ এত নিম্মমানের করার কারণে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে দেবে গেছে। এ বদনাম ঢেকে রাখতে রাস্তার মাঝখানে পিলার দিয়ে বড় বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে রেখেছে।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় খুঁটি পুতে দেয়ার কারণে এলাকাভিত্তিক জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের দাবীর প্রেক্ষিতে খুঁটি স্থানান্তর করে দেয়া হচ্ছে। কোন প্রকার নিম্নমানের মালামাল দিয়ে রাস্তার কাজ করা হয়নি। রাস্তার কাজ সুন্দর ভাবে সিডিউল মোতাবেক করা হয়েছে।
শরীয়তপুর পৌসভার মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, পৌর এলাকার রাস্তায় মাহেন্দ্র ও ট্রলি চলাচল করে। ভারী যানবাহন চলাচল করলে রাস্তাগুলো বিনষ্ট হবে। এ কারণে পৌরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাস্তার মাঝখানে খুঁটি পুতে দেয়া হয়েছে। যাতে ভারী যানবাহন চলাচল করতে না পারে। এতে জনসাধারণের চলাচল বা ছোট ছোট যানবাহন চলাচলে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি।