মঙ্গলবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং, ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
মঙ্গলবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং

অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে শরীয়তপুরে বিক্ষোভ

অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে শরীয়তপুরে বিক্ষোভ

২০০১ সালের ৫ অক্টোবর শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শরীয়তপুর জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ও তার ছোট ভাই শরীয়তপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের নেতা মনিরুজ্জামান মুন্সীর হত্যাকারী ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগ তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে পৌরসভার পালং উত্তর বাজার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়। পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুর রব মুন্সী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, যুগ্ন-সম্পাদক এ্যাড. মির্জা হযরত আলী, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, প্যানেল মেয়র মো. বাচ্চু বেপারী, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন মুন্সী, অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন খান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন নিপু, জামাল হোসেন ফকির, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুহুন মাদবর, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হোসেন সরদার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফাহাদ হোসেন তপু, নিহত অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমানের ছেলে অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন, জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. মহসিন মাদবর, যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুজ্জামান রাশেদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, এতো বছরেও হাবিবুর রহমান ও তার ছোট ভাই মনিরুজ্জামান মুন্সীর হত্যাকারী ঘাতকদের বিচার হয়নি। হত্যাকারীরা জামিনে গিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই অবিলম্বে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দেয়া হোক।

নিহত অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমানের ছেলে অ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন বলেন, আমাদের চোখের সামনে বাবা-চাচাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তখন আমরা শিশু ছিলাম। শিশু বয়স থেকেই বাবার হত্যার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছি। বিপদের মুহূর্তে অনেককেই পাশে পাইনি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পাশে না থাকলে হয়তো আমরাও হারিয়ে যেতাম। আমার বাবার হত্যাকারীদের বিচার হোক, সর্বোচ্চ শাস্তি হোক।

মামলার এজাহার ও বাদীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন জাজিরা উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন মামলার আসামি হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তখন আওরঙ্গের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ। সে সময় এ নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষ হতো দুই পক্ষের মধ্যে। তখন হাবিবুর রহমান ও তাঁর ভাই মনিরুজ্জামান মুন্সী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ওই ঘটনায় হাবীবুর রহমানের স্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জিন্নাত রহমান বাদী হয়ে আওরঙ্গকে প্রধান আসামি করে ৫৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে ওই মামলা থেকে আওরঙ্গের নাম বাদ দিয়ে ২০০৩ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করে। মামলার বাদী তখন আদালতে নারাজি দেন। আদালত ওই নারাজির আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর বাদী জিন্নাত হাবিব উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। ওই আবেদন নিষ্পত্তিও দীর্ঘায়িত হয়।


error: Content is protected !!