শরীয়তপুর সদর উপজেলায় গ্যাসের ৫’শ টাকা পাওয়ানাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রথমে একজন ব্যবসায়ীকে ও পরবর্তীতে ব্যবসায়ীর ছোট ভাইয়ের উপর হামলা করে মারাত্মক জখম করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের দাদপুর এলাকার ঘোজা পাকার মাথায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগি পরিবারের মো: হানিফ শিকদার।
আহত ব্যাক্তিটি হলেন মৃত আ: রহমান শিকদারের ছোট ছেলে মনির শিকদার। তার মাথার পিছন দিকে এলোপাথাড়ি কোপ দিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। এছাড়া ঐ পরিবারের হানিফ শিকদার কয়েকজন আহত হয়।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, হানিফ শিকদার ও হুমায়ুন শিকদার উভয়েই আঙ্গারিয়ার দাদপুর ঘোজা পাকার মাথার ব্যবসায়ী। তারা গ্যাসের ৫’শ টাকা পাওয়ানাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঝগড়া ও মারামারি করে। সেই বিরোধের জের ধরে হুমায়ুন শিকদার হানিফ শিকদারের উপর ক্ষিপ্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ব পরিকল্পনা করে রবিবার সকাল ৮টার দিকে চরযাদবপুর গ্রামের মৃত ছাবের আলী শিকদারের ছেলে হুমায়ুন শিকদারের (৬০) নের্তৃত্বে হুমায়ুন শিকদারের ছেলে হেদায়েতুল্লাহ শিকদার (২৭), সিয়াম শিকদার(২৪), মৃত ছাবের আলী শিকদারের ছেলে মো: হান্নান শিকদার(৫০), মন্নান শিকদার(৪৩) ও চর চটাং গ্রামের মৃত রকমান শিকদারের ছেলে কাদের শিকদার(৬০)সহ শতাধিক লোকজন নিয়ে ধারালো অস্ত্রসস্ত্রসহ হানিফ শিকদারের দোকানে হামলা চালায়। হামলায় হানিফ শিকদারসহ তার ছোট ভাই মনির শিকদারকে এলোপাথাড়ি মাথায় কুপিয়ে জখম করে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়। তারপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় মনিরকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় হানিফ শিকদার বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামী করে পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে আহত হানিফ শিকদার বলেন, আমার সাথে হুমায়ুন সাথে ৫’শ টাকা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই বিরোধের জের ধরে হুমায়ুন শিকদার আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ব পরিকল্পনা করে রবিবার সকাল ৮টার দিকে চরযাদবপুর গ্রামের মৃত ছাবের আলী শিকদারের ছেলে হুমায়ুন শিকদারের (৬০) নের্তৃত্বে হুমায়ুন শিকদারের ছেলে হেদায়েতুল্লাহ শিকদার (২৭), সিয়াম শিকদার(২৪), মৃত ছাবের আলী শিকদারের ছেলে মো: হান্নান শিকদার(৫০), মন্নান শিকদার(৪৩) ও চর চটাং গ্রামের মৃত রকমান শিকদারের ছেলে কাদের শিকদার(৬০)সহ শতাধিক লোকজন নিয়ে ধারালো অস্ত্রসস্ত্রসহ আমার দোকানে হামলা চালায়।
হামলায় আমি ও আমার বড়ভাইসহ আমার ছোট ভাই মনির শিকদারকে এলোপাথাড়ি মাথায় কুপিয়ে জখম করে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়। তারপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় মনিরকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামী করে পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
অভিযুক্ত হুমায়ুন শিকদার, হেদায়েতুল্লাহ শিকদার, সিয়াম শিকদার, মো: হান্নান শিকদার, মন্নান শিকদারকে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলামউদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।