Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারীতে বাচ্চা জন্মগ্রহণ

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারীতে বাচ্চা জন্মগ্রহণ

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা লোনসিং গ্রামের জলিল খন্দাকারের স্ত্রী কানন আক্তর। শনিবার (৬ জুলাই) সকালে কানন আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। হাসপাতালে আসার পর কয়েকজন দালাল তাদের পিছু নেন। দালালরা তাদের বোঝাতে থাকেন ক্লিনিকে নিয়ে গেলে ডেলিভারী ভালো হবে। তারা তাদের পছন্দের ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে যান রোগীর স্বজনরা। তখন রোগীর এক আত্মীয় বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেলিভারীর ব্যবস্থা করেন। সকাল ৯টার টার দিকে সদর হাসপাতালে কানন আক্তারের নরমাল ডেলিভারী করানো হয়।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, নবজাতক সন্তান ও প্রসূতি মা কানন আক্তার উভয়ে ভালো এবং সুস্থ আছেন। এটা কাননের দ্বিতীয় সন্তান। প্রথম সন্তান জন্মের সময়ও কানন আক্তারকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলের স্বজনরা। সেসময় দালালের পরামর্শে ক্লিনিকে নিয়ে সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারী করানো হয়েছিলো। এবার নরমাল ডেলিভারী হওয়ায় রোগী ও তার স্বজনরা খুশি।
কানন আক্তারের মতো অনেক রোগী সদর হাসপাতালে এসে দালালের খপ্পরে পড়েন। আবার অনেক রোগী জানেনই না সরকারী হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারীর ব্যবস্থা আছে।
কানন আক্তারের স্বামী জলিল খন্দকার বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে সদর হাসপাতালে আসলে কিছু লোক ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছে। তারা বলেছে, সরকারী হাসপাতালে নাকি ভালো সেবা ও চিকিৎসা পাওয়া যায়না। শেষ পর্যন্ত সদর হাসপাতালে আমার স্ত্রীর নরমাল ডেলিভারী হয়েছে। আমার স্ত্রী ও সন্তান সুস্থ আছে। আমরা নরমাল ডেলিভারী করাতে পেরে অনেক খুশি।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, হাসপাতালে নরমাল ও সিজার দু’টোরই ব্যবস্থা রয়েছে। যার সিজার করা প্রয়োজন তাকে সিজার করানো হয়। আর যদি দেখা যায় সিজার লাগবে না সে ক্ষেত্রে রোগী ও তার স্বজনরা যদি নরমাল ডেলিভারী করাতে ইচ্ছুক হয় তাহলে তাকে নরমাল ডেলিভারী করানোর ব্যবস্থা করা হয়।