
মাদারীপুরের কালকিনিতে একদল ছিনতাইকারীর কবলে পরেছে বরযাত্রীর লোকজন। এসময় ছিনতাইকারীরা তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থসহ প্রায় লক্ষাধীক টাকার মামামাল লুট করে নিয়ে যায়। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
এলাকা, পুলিশ ও ভূক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে, জেলা সদরের ঘটমাঝি এলাকার মন্টার পোল বাজার থেকে মোঃ কামাল হাওলাদেরর একটি ব্যাটারী চালিত অটো যোগে মহিলাসহ কমপক্ষে ৭/৮জন লোক বিয়ের অনুষ্ঠানের অংশ গ্রহন করার জন্য মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাজীবাকাই এলাকার পাথুরিয়ারপারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এসময় যাত্রীরা বালিগ্রাম এলাকার ধুলগ্রাম গ্রামের সিরাজ মাষ্টারের বাড়ির সামনে আসলে মোঃ জসিম ঘরামী ও সুমন খানসহ ৫/৭ ছিনতাইকারী মিলে দেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলেন। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও বিদেশী ৬টি মোবাইল ফোন (যাহার আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ২০ হাজার) টাকা ছিনিয়ে নেয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। পরে মোঃ কামাল হাওলাদার বাদি হয়ে মোঃ জসিম ঘরামী ও সুমন খানের নাম দিয়ে এবং ৬ জনকে অজ্ঞাত রেখে ডাসার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে সমালোচনার ঝড় বইছে।
ভূক্তভোগী মোঃ কামাল হোসেন বলেন, আমিসহ ৭/৮জন মিলে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে রওনা দিলে আমারা বালিগ্রামের ধুলগ্রামে পৌছলে ছিনতাকারীর কবলে পরি। এবং এসময় আমাদের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও বিদেশী ৬টি মোবাইল ফোন (যাহার আনুমানিক মূল্য ১লক্ষ ২০ হাজার) টাকা ছিনিয়ে নেয়ে যায় মোঃ জসিম ঘরামী ও সুমন খানসহ ৮/১০ জনে। তাই আমি তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এবং আমি তাদের নামে মামলা করবো।
বালিগ্রাম এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন খান বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনা আমি যানি। আমার কাছেও ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। আমি আমার গ্রাম পুলিশ সদস্যদেরকে ছিনতাইকারীদেরকে আটক করার জন্য থানা পুলিশকে সহযোগীতা করার জন্য বলে দিয়েছি।
অভিযুক্ত মোঃ জসিম ঘরামীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে এলাকায় পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি মোঃ গোলাম কিবরীয়া বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এবং এ বিষয় মামলা হবে। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পালিয়ে রয়েছে। তাই আসামী আটক করা সম্ভব হয়নি।