স্বাস্থ্যবিধি ঠিকভাবে মেনে চিকিৎকের পরামর্শ মত নিয়মিত ঔষধ সেবন, বেশী বেশী প্রোটিনযুক্ত ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, গরম পানি সেবন সহ সম্ভব হলে হাল্কা ব্যায়াম করলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও খুব সহজেই দ্রুত সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া যায়। পাশাপাশি আক্রান্ত হওয়ার পর আতংকিত না হয়ে মনোবলটাকে সুদৃঢ় রাখতে পারলেই করোনা যুদ্ধে জয়ী হওয়া যায়।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাসায় থাকা যুবলীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-সম্পাদক ও যুবলীগ টেলি মেডিসিন সার্ভিস এর প্রধান সমন্বয়ক শরীয়তপুরের কৃতি সন্তান ডাঃ হেলাল উদ্দিন ও তার সহধর্মিনী সহকারী অধ্যাপক ডাঃ নাজিয়া মেহেনাজ জ্যোতি ৯ মে শনিবার সকালে এভাবে দৃঢ়তার সাথে কথাগুলো বলছিলেন। তারা দুজনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেন্টাল ফ্যাকাল্টির কর্মরত চিকিৎসক।
করোনা যোদ্ধা এই তরুণ চিকিৎসক বলেন, এই যুদ্ধে জয় করতে হলে পরিবারের লোকজনের সাপোর্ট অত্যন্ত জরুরী, বিশেষ করে আমার শ্বশুর-শাশুরী যারা আমাদের সাড়ে তিন মাসের দুধের শিশুকে আগলে রেখেছেন ও আমাদের সেবা যত্ন করেছেন নিয়ম মেনে। তাছাড়া আমার ভাই-বোনেরা এই বাড়ি লক ডাউনের মধ্যে নিয়মিত খাদ্যসামগ্রী ও ঔষধ সরবরাহ করেছেন। পাশাপাশি এলাকাবাসী বিশেষ করে মনিপুরীপাড়া কল্যান সমিতির সহায়তা ও সহকর্মীদের সহমর্মিতা ও সার্বিক সহযোগিতা পাওয়াটাও বড় ভূমিকা রাখে, যা আমি আইসোলেশনে থেকে মর্মে মর্মে বুঝতে পেরেছি। সেজন্য আমি আমার হাসপাতালের সিনিয়র অধ্যাপকবৃন্দসহ হাসপাতালে কর্মরত সকল সহকর্মী ও স্টাফদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। পাশাপাশি যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রতিনিয়তই আমার সঙ্গে কথা বলে আমার খোঁজ খবর নেওয়ায়, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল এই দম্পত্তির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরটি প্রচারিত হলে, হাসপাতালসহ পুরো এলাকায় মানুষের মধ্যে প্রচন্ড ভীতি ও আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ১৪ দিন আইসোলেশনে থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে এখন তিনি নিজ বাসায় কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।