শুক্রবার, ৯ই জুন, ২০২৩ ইং, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী
শুক্রবার, ৯ই জুন, ২০২৩ ইং

নড়িয়া ঘড়িষার বাজারে জমি দখলের প্রতিযোগিতা

নড়িয়া ঘড়িষার বাজারে জমি দখলের প্রতিযোগিতা

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষার বাজারে উত্তর পাশে পুকুর পাড় সরকারি খাস জমি দখলের প্রতিযোগিতা মুলক ভাবে দখল করে নিচ্ছে প্রভাবশালী মহল। মহলটি মুল্যবান এসব জমি দখল করে নিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তৈরি করছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ দিকে সম্প্রতি পন্ডিতসার ও কলারগা ও গ্রামের দুই জন প্রভাবভাশী ব্যক্তি সরকারী জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে পাকাপোক্ত করতে কার্তিকপুর এলাকার সরকার-দলীয় এক প্রভাবশালী নেতাকে সঙ্গে নিয়ে দখলকে আরো পাকাপোক্ত করে নেন। এ নিয়ে এলাকায় প্রতিবাদের ঝর উঠলে ও রহস্যজনক কারনে ভুমি অফিস কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এর পর থেকেই দখল আর পাল্টা দখলে মেতে উঠেছেন ঘড়িষার বাজারে চিহ্নিত বিশেষ মহল।

শান্তি চন্দ্র দাস বলেন, আমি পুকুর পাড় সরকারি জায়গার উপর একটা চৌকি বসাইয়া জুতা ছেন্ডেল সেলাই ও জুতাকালি করি। দখলদাররা চৌকি সরাইয়া ঘর তুলছে আমি এখন কোথায় যাবো আমাদের দেখার কেউ নেই।

নাম বলতে অনইচ্ছুক ওই বাজারের এক দোকানি বলেন, দখল করা পুকুর পাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে পাকা ঘাটলা করে দিয়েছে সরকার। সেই ঘাটলায় দোকানিরা এখন গোসল করতে পারে না, ময়লা ফেলা হচ্ছে পুকুরে, কে বলবে? বললে মার খেতে হবে। দখলদাররা ভুমি অফিসের সাথে যোগসাযোগসে হিন্দুদের সম্পত্তি ভুয়া কাগজ-পত্র তৈয়ারি করে কিছু জমি রেকর্ড করে নিয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঘড়িষার ভুমি বিভাগের জায়গা দখলের চিত্র। প্রাভাশালী চক্র বিভিন্ন ব্যানারে মুল্যবান ভুমি দখলে বানাচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে পুুরোপুরি ভাবে অবগত নন বলে জানান। ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি সম্প্রতি ঘড়িষার ইউনিয়ন ভুমি অফিসে যোগদানের ৭ দিন পরই ঘড়িষার বাজারের উত্তর পাশে পুকুর পাড়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঘর উঠিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এ বিয়ষটি আমি নড়িয়া উপজেলার ভুমি অফিসার স্যারকে জানাইছি। তিনি বেদখল হওয়া খাস জমির উপর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করছেন দখলদাররা সেই ঘর গুলো সরজমিনে এসে তদন্ত করেছেন। দখলদারকে মুখিক ভাবে ঘর সরিয়ে নেওয়ার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। ঘড়িষার বাজারের উত্তর পাশে পুকুর পাড় সরকারী ভুমি দখল করে অর্থ কামাই এখন ওপেন সিক্রেট হয়ে পড়েছে। এখানে সরকারী খাস জমি ভুমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করলে এলাকায় এ নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় দেখা দিয়েছে উত্তেজনা।

জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে ঘড়িষার বাজারে প্রতিযোগিতামুলক ভাবে দখল হচ্ছে ভুমি বিভাগের জায়গা। বেশ কিছুদিন আগে একই বাজরের পুর্বপাশে ব্রীজের ঢালে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় দখল করে বানানো হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দখলদার বলেছেন যে জমির উপর আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছি। এই জমি গুলো আমাদের বাপ-দাদার ছিল। বি আর এস রেকর্ডে কিছু জমি আমাদের নামে হয় নাই। সেই জমি গুলো আমরা লিজ নেওয়ার জন্য আবেদন করিয়াছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলাউদ্দীন দেওয়ান বলেন, এই জায়গা গুলো হিন্দুদের বর্তমান সরকারি সম্পত্তি কয়েক দিন আগে দখলদাররা ঘর উঠাইয়াছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, আমরা ভুমি অফিস থেকে লিজ এনেছি।

নড়িয়া উপজেলার ভুমি অফিসার মোর্শেদুল ইসলাম বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে ছিলাম ঘরিষার ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেনকে বলেছি দখলদারকে লিখিত ভাবে নোটিস করেদেন সরকারি খাস জমি থেকে ঘর স্থাপনা সরিয়ে নেয়। দখলদাররা খাস জমি লিজ নেওয়ার জন্য আবেদন করলেও ঘর স্থাপনা সরিয়ে নিবে তার পরে জমি লিজ দেওয়া হবে। কেউ সরকারি জায়গা দখল করতে পারবে না, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


error: Content is protected !!